বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১২ পূর্বাহ্ন
থানা প্রতিনিধি: বেতাগী উপজেলায় ভাতিজার হাতে ফুফু ধর্ষণ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে বেতাগী থানায় মামলা দায়ের করেন। জানা যায়, উপজেলার ছোট মোকামিয়া গ্রামের ১৬ বছর বয়সের এক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে ২ মে বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে ধর্ষণ করেন একই গ্রামের চাচাতো সম্পর্কের ভাতিজা মো. আসদুল সিকদার।
অভিযোগে উল্লেখিত, একই গ্রামের আসদুল সিকদার এর বসত ঘরে তরুনীকে (সম্পর্কে ফুফু) পালাক্রমে ধর্ষণ করেন তিনি। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে বেতাগী থানায় অভিযুক্ত আসদুল সিকদারকে আসামি করে মামলা দায়ের করে ধর্ষিতার পিতা একেই গ্রামের বাসিন্দা মো. আবুল কালাম।
মামলার বাদী ও ধর্ষিতা তরুণীর পিতা আবুলকালাম বলেন, ভূক্তভোগী তরুণী একই গ্রামের মো. রিপন সিকদার নামক এক ব্যাক্তির বাসার ঝিয়ের কাজ করতো। এরই পেক্ষিতে আসা যাওয়ার পথে বাজে কথার মাধ্যমে নানা ধরণের কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন একই গ্রামের বাসিন্দা চাচাতো সম্পর্কের ভাতিজা মো. আসদুল সিকদার।
গত ২ মে ভূক্তভোগী তরুণীকে একা রেখে তার মা রাশেদা বেগম পাশ্ববর্তি মাঠে মুগডাল তুলতে গেলে তখন বখাটে আসাদুল আমার মেয়ের একাকিত্বের সুযোগ নিয়ে বিয়ে করবে এমন নানা ধরনের প্রলোভন মূলক কথার ফাঁদে পার্শ্ববর্তি তার বাসায় নিয়ে যায় এবং পালাক্রমে ঘন্টাব্যাপি ধর্ষণ চালায়।
একপর্যায়ে মেয়ের ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন জরো হলে আসাদুল পালিয়ে যায়। তবে কিছুসময়ের মধ্যে এলাকার লোকজনের সহায়তায় তাকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করা হয়। ভূক্তভোগী তরুণী বলেন, লজ্জায় প্রথমে বিষয়টি বাহিরে কাউকে জানাতে চাইনি তাই প্রথমে মামলা করতে চাইনি, কিন্তু পরর্বতী সময়ে বিষয়টি সকলের মধ্যে জানা জানি হলে বেতাগী থানায় মামলা দায়ের করি।
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, ২০০০এর ৯(১) ধারায় মামলাটি রুজু করেছি এবং আসাবিকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply