সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:১৯ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ করোনাভাইরাসের কারণে গোটা দেশ এখন কার্যত লকডাউন। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না মানুষ। করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। অনেকেই জীবিকার তাগিদে ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন। এমন দুই বৃদ্ধ ভ্যানচালককে কানধরে উঠবস করিয়েছেন যশোরের মণিরামপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) সাইয়েমা হাসান।
মাস্ক না পরায় তিন বৃদ্ধকে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে শাস্তি দেয়া ও নিজের মোবাইলের ক্যামেরায় সেই ছবি তোলা হয়েছে। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। একজন সরকারি কর্মকর্তার এমন অমানবিক কর্মকাণ্ডে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা।
এবার ঘটলো আরেক ঘটনা। যশোর জেলার সরকারি ওয়েবসাইটে মনিরামপুরের ট্যাবে সমালোচিত সাইয়েমা হাসানের ও কান ধরার দৃশ্য এঁটে দিয়েছে হ্যাকাররা। এই ট্যাবে ঢুকলে আগে মনিরামপুরের তথ্যের সাথে বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থানগুলোর ছবি দেখা যেত।
তবে শুক্রবার রাত থেকে পেজে সাইয়েমা হাসানের সেই ছবিটি দেখা যাচ্ছে। টিম ডোনজ নামে একটি হ্যাকারগ্রুপ এই পেইজটি হ্যাক করার দাবি করে। সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয়েছে একটি বার্তা।
বার্তায় হ্যাকাররা লিখেছে, তর্কের খাতিরে মেনেই নিলাম যে তিনি চাল ডাল কিনতে না, কাজ করতেই এসেছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ব্যবহার করে বাবার বয়সী একজন মুরুব্বিকে কানে ধরিয়ে সেটার ছবি এভাবে ছড়িয়ে দিতে পারেন না।
অন্তত সাইবার ক্রাইম আইন আপনাকে সেই ক্ষমতা দেয়নি। এসব ভণ্ডামি বাদ দেন আপনি সরকারি বেতন নেন রাষ্ট্রের নির্দেশে কিংবা সরকারের নির্দেশ পালনের জন্য। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বাবার বয়সী মুরুব্বিকে হেনস্তার জন্য নয়।
শুক্রবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে একইসঙ্গে তিন বৃদ্ধকে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখার ছবি মোবাইলে ধারণ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে এই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এ বিষয়ে জানতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইয়েমা হাসানের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
Leave a Reply