বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৪০ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ চোরাই সন্দেহে প্রায় দুই লাখ টাকা মূল্যের বিদেশি জাতের গাভী থানায় না এনে অজ্ঞাত কারণে গ্রাম পুলিশের কাছে জিম্মায় রাখেন এসআই। কিন্তু সেই গরু থাকে দাবিদার বির্তকিত ব্যক্তির বাড়িতে। ফলে পাঁচ দিনেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় এলাকায় চলে আলোচনা-সমালোচনা।
ঘটনা জানার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তদন্তে গেলে আসল ঘটনা ফাঁস হওয়ায় লাপাত্তা হয় গরুর মালিক দাবিদার ব্যক্তিটি। পরে গত মঙ্গলবার রাতে গরুটি বাছুরসহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়ার পর দায়িত্বে অবহেলার কারণে রাতেই প্রত্যাহার করা হয় দাযিত্বপ্রাপ্ত থানার এসআই আব্দুল লতিফকে। এমন ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর বাজারে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের মধুপুর বাজারের মো. তাইজুল ইসলামের বাসায় গত ২৬ আগস্ট থেকে বিদেশি জাতের প্রায় দুই লাখ টাকা মূল্যের গাভী বাছুরসহ রয়েছে। তাজুলের বাড়িতে হঠাৎ এ ধরনের গরুর অবস্থান জানতে পেরে এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার এসআই আব্দুল লতিফ ঘটনাস্থলে গিয়ে গরুর অবস্থানের সত্যতাসহ ব্যাপক আলোচনা শুনলেও গরু উদ্ধার না করে বির্তকের সৃষ্টি করেন। পরে গরুটি স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ও এলাকার অন্য আরেকজনের জিম্মায় রাখলেও গরুর মালিক দাবিদার বির্তকিত ব্যক্তির কাছে থাকে গরুটি।
এ নিয়ে গত রবিবার ‘লাখ টাকা মূল্যের গরুর মালিকানা নিয়ে চোর-পুলিশ খেলা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) সাখের হোসাইন সিদ্দিকী তদন্তে নামেন। তিনি গত মঙ্গলবার দিনভর তদন্ত শেষে রাতে গরুটি বাছুরসহ উদ্ধার করে থানায় নিলেও মালিক দাবিদার মো. তাইজুল ইসলাম লাপাত্তা হয়ে যান।
স্থানীয় লোকজন জানান, গত ২৬ আগস্ট মধুপুর বাজার থেকে জনৈক আব্দুস সালামের কাছ থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে গাভীটি ক্রয় করেন তাইজুল। বাড়িতে আনার পর গাভীটি বাচ্চা প্রসব করে। গাভীটি বিক্রি করেছেন পাশের নাউরী গ্রামের আব্দুস সালাম নামে এক ব্যক্তি। তিনি ওই গ্রামের নবী হোসেনের পুত্র।
তাইজুল জানান, তিনি বিক্রেতা সালামকে ভালোভাবে চেনেন না। ইজারা রসিদে গাভীটি শনাক্ত করেছেন নাউরী গ্রামের কবিরুল ইসলাম বাচ্চু নামে এক ব্যক্তি। বিক্রেতা ছালাম ও কবিরুল দুজন একে অপরের পরিচিত। তা ছাড়া দুজনই এলাকায় বিভিন্ন কারনে বির্তকিত।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাখের হোসাইন সিদ্দিকী জানান, গরুটি নিয়ে কানামাছি খেলা চলছিল। তদন্তে নেমে জানা যায় গরুটি চোরাই। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
Leave a Reply