মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩০ অপরাহ্ন
বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ বাবুগঞ্জে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে আটকের ঘটনায় ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে,মামলা নং-৬। আটককৃতরা হলেন উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর গ্রামের মৃতঃ ফজলুল হক’র পুত্র মোঃ বেল্লাল হোসেন জামাল(এম জামাল), মেহেন্দীগঞ্জ থানার উলানিয়া গ্রামের মৃতঃ ইউসুফ আলী তালুকদার’র পুত্র আঃ জব্বার তালুকদার, আগৈলঝাড়া থানার পূর্ব সুজনকাঠী গ্রামের মৃতঃ শহিদ মোল্লার পুত্র আজিজুল মোল্লা। আটক হওয়া কথিত সাংবাদিকদের জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানাযায়, সাংবাদিক পরিচয়ধারিরা গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাবুগঞ্জ বাজারস্থ মসজিদ সংলগ্ন মধুবন বেকারিতে বিভিন্ন অনিয়ম ও অপরিচ্ছন্নতার অভিযোগ তুলে ভিডিও চিত্র ধারণ করে বেকারি মালিককে জিম্মি করে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। অন্যথায় বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করবে বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তারা নিজেদের ক্রাইম রিপোর্টার, এম টিভি ও বাংলা টিভির জেলা প্রতিনিধি বলে পরিচয় প্রদান পূর্বক চাঁদাবজির ঘটনায় লিপ্ত হয়। এসময় বেকারির মালিক মোঃ ফিরোজ হাওলাদারের সন্দেহ হলে বাজার কমিটির লোকজন ডেকে আনেন। বাজারের লোকজন বেকারি দোকানে ছুটে আসলে ওই কথিত ৩ সাংবাদিক শটকে পরার চেষ্টা করলে উপস্থিত জনতা তাদেরকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আটককৃতদের ব্যবহিত দুটি মোটরসাইকেল, একটি ভিডিও ক্যামেরাসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করে।
এব্যাপারে বেকারি মালিক ফিরোজ হাওলাদার বাদী হয়ে কথিত ৩ সাংবাদিককে আসামী করে বাবুগঞ্জ থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন।
বাবুগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। শুধু তাই নয়, আটক এম জামাল, জব্বার এবং আজিজুল গত ১৮ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে রহমতপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জামাল হোসেন পুতুল, মূলাদি উপজেলার কাজীরচর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শামীম খান এবং একই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আঃ মালেক’র কাছে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে চাঁদা দাবী করেছিল।
স্থানীয় জনতা জোট বেধেছে এমনটা বুঝতে পেরে সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে গিয়েছিল। থানা সূত্র জানিয়েছেন, এম জামাল উজিরপুর থানায় বউয়ের দায়েরকরা পূর্বের দুটি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী। তিনি গত দুই মাস যাবৎ ফেরারী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানিয়েছেন উজিরপুর থানা পুলিশ।
Leave a Reply