শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৩ অপরাহ্ন
বানারীপাড়া প্রতিনিধি॥ বানারীপাড়ায় প্রতিবন্ধী ভাতা বয়স্ক ভাতা সহ সরকারী বিভিন্ন অনুদান গ্রহনে গ্রহীতাদের উৎকোঁচ দেয়া লাগে স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম মন্টুকে এমন অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে ইলুহার ইউনিয়নের পদ্মবুনিয়া বাজার সংলগ্ন ৯ নং ওয়ার্ড এলাকায় মোঃ নান্না হোসেনের বাড়িতে গেলে তার স্ত্রী রোজিনা বেগম জানান প্রায় এক বছর পূর্বে তার প্রতিবন্ধি ছেলে আব্দুর রহিমের নামে একটি সরকার প্রদত্ত প্রতিবন্ধি ভাতার কার্ড গ্রহনের জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য মন্টুর দারস্থ হন।
তখন মন্টু মেম্বর রোজিনার ছেলের প্রতিবন্ধি কার্ডের জন্য ২ হাজার টাকা দাবী করেন। পরে মন্টুর দাবীকৃত ২ হাজার টাকা পরিশোধ করে রোজিনা তার ছেলের প্রতিবন্দী কার্ড করাতে সক্ষম হয়। এরপরে প্রথম ধাপে সরকার কর্তৃক আব্দুর রহিমের নামে ইস্যুকৃত প্রতিবন্ধি কার্ডে টাকা আসলে তখনো মন্টু মেম্বরকে ৫শত টাকা উৎকোঁচ দেয় রোজিনা।
সর্বশেষ গত ২৪ জুলাই ওই প্রতিবন্ধি কার্ডের ৬ হাজার ৩ শত টাকা উত্তোলন করেন রোজিনা তখন মন্টু মেম্বর রোজিনার কাছে থেকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে আবারো ১৪ শত টাকা নিয়ে যায়।
একই এলাকার বয়স্ক ভাতা উত্তোলনকারী সাফিয়া বেগমের ছেলে মোঃ রফিক জানান তার মায়ের বয়স্ক ভাতার কার্ড করানোর সময়ও মন্টু মেম্বরকে উৎকোঁচ দিতে হয়েছে। ওই ওয়ার্ডেও সেলিনা বেগম বলেন বয়স্ক ভাতার জন্য তার কাছ থেকেও এক প্রকার জোর পূর্বক ৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় মন্টু মেম্বর। এছাড়াও ওই এলাকার মোকছেদ হাওলাদারের কাছ থেকে ১২ শত টাকা নেয় মন্টু। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম মন্টুর কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।
Leave a Reply