মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৮ অপরাহ্ন
মো. সুজন মোল্লা,বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি॥ বানারীপাড়ায় শেরে বাংলার চাখারের সাব রেজিষ্ট্রার মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে দলিল রেজিষ্ট্রী করতে প্রতি লাখ টাকায় তাকে দুই হাজার টাকা করে দিতে হয়। প্রতি মাসে চাখার সাব রেজিষ্ট্রী অফিসে প্রায় দুই শতাধিক দলিল রেজিষ্ট্রি হয়।এতে প্রতি মাসে তার প্রায় অর্ধকোটি টাকা ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে অবৈধ আয় হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে দলিল রেজিষ্ট্রী বাবদ সরকারের অনুকুলে প্রতি লাখে ৯ পার্সেন্ট টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা দেওয়ার বিধান থাকলেও সেখানে ১৩ পার্সেন্ট নেওয়া হয়।
কাগজপত্রে বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যূতির অজুহাত ও এ ব্যপারে সম্যক ধারণা না থাকায় অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কারনে জমির ক্রেতা-বিক্রেতারা আর্থিক ক্ষতির সন্মূখিন হন।দলিল লেখকরা অতিরিক্ত এ ৪ পার্সেন্ট টাকা নিয়ে দলিল প্রতি লাখে দুই হাজার টাকা করে সাব-রেজিষ্টারকে দেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলিল লেখক জানান। তারা জানান সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসের প্রধান করনিকের মাধ্যমে এ ঘুষ লেনদেন হয়। তবে নির্ধারিত হারের ওই টাকা না দিলে তিনি দলিল রেজিষ্ট্রী না করে বিভিন্ন অজুহাত দাঁড় করিয়ে ফেরত দেন বলে দলিল লেখকরা অভিযোগ করেন।
অবৈধ এ ঘুষ বানিজ্য থেকে সাব-রেজিষ্টার বিশাল বিত্ত-ভৈববের মালিক বনে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি বিলাসবহুল গাড়িতে চড়ে অফিসে যাতায়াত করেন। এদিকে বিভিন্ন সময় সাব-রেজিষ্টারদের অসততার এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জাল-জালিয়াতি দলিলের মাধ্যমে কয়েকজন দলিল লেখক আঙ্গুল ফলে কলাগাছ বনে গেছেন।
এ প্রসঙ্গে চাখার সাব-রেজিষ্টার মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয় বলে জানান।প্রসঙ্গত সাব-রেজিষ্টার সাদিকুল ইসলাম তালুকদার নকলনবিশ থেকে করণিক হয়ে সাব-রেজিষ্টার পদে পদোন্নতী পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
Leave a Reply