মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৪ অপরাহ্ন
মো. সুজন মোল্লা,বানারীপাড়া (বরিশাল) থেকে: বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠি ইউনিয়নের তেতলা পি জি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের রিংকু মল্লিক নামের ৮ম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী স্কুলে বসে অসুস্থ্য হবার পরে তাকে বানারীপাড়া ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন তারই দু’জন সহপাঠি।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টার সময় রিংকু স্কুলে বসে পেটে ব্যাথা অনুভব করে অস্বুস্থ্য হয়ে পরলে তার প্রিয় বিদ্যাপিঠ তেতলা পি জি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক বা কর্তৃপক্ষ তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার প্রয়োজন মনে করেননি বলে স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে।
এক পর্যায়ে তার অসুস্থ্যতার মাত্রা বেড়ে গিয়ে যখন খিঁচুনি হতে শুরু করে তখন রিংকু মল্লিকের দু’জন সহপাঠি তাকে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকে করে বানারীপাড়া ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসতে শুরু করেন। তবে বিদ্যালয়ের কোন একজন শিক্ষক বা কর্তৃপক্ষ তার সাথে আসেননি তখন।
অসুস্থ্য সহপাঠিকে নিয়ে দু’জন ছাত্রী যখন উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন অতিক্রম করছিলো তখন তাদের সাথে দেখা হয় বানারীপাড়া থানায় কর্মরত মানবতার পুলিশ অফিসার খ্যাত মো. জাহিদুল ইসলামের সাথে।
দু’জন ছাত্রী ইজিবাইকে করে অসুস্থ্য আরেকজন ছাত্রীকে নিয়ে আসার দৃশ্য দেখে তাদের সাথে কথা বলেন এএসআই জাহিদুল ইসলাম। তাদের কাছ থেকে সব শুনে তার ডিউটির কাজ রেখে নিজেই বানারীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন অসুস্থ্য ওই ছাত্রীকে।
আনার পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মীরা মজিদ বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (শেবাচিমে) নিয়ে যাবার পরামর্শ দেন। পরে এএস আই জাহিদুল ইসলাম অসুস্থ্য ওই ছাত্রীর দায়িত্ব নিয়ে ডাক্তারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে অনুরোধ করেন। বর্তমানে ওই ছাত্রী বানারীপাড়া ৫০ যশ্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।
একজন ছাত্রী অসুস্থ্য হবার পরে তাকে কোন শিক্ষক চিকিৎসার ব্যবস্থ্যা না করায় সচেতন মহল এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে পি জি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আকবরকে তার মুঠোফোন (০১৭১২……১১) নম্বরে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা ২৫ মিনিটে কল করলে তিনি অপর প্রান্ত থেকে জানান,সে বর্তমানে একটি মিটিংয়ে আছেন পরে কথা হবে বলে কেটে দেন।
তবে স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে রিংকু মল্লিক যখন অসুস্থ্য হয়ে পরেছিলো তখন শিক্ষক ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি মিটিং করছিলেন। যার ফলে অসুস্থ্য শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দেওয়া তেমন জরুরী মনে করেননি তারা।
Leave a Reply