মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫০ অপরাহ্ন
আমজেদ হোসেন,বাউফল প্রতিনিধি॥ বাউফলের কনকদিয়া বাজার থেকে কালিশুরি পর্যন্ত কানেকটিং সড়কে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি সেতু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় ৩টি ইউনিয়নের জনসাধারণের দুর্ভোগ চরমে।কনকদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহিন হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসহীনতার কারণে সূর্যমনি, কনকদয়িা, কালিশুরি ইউনিয়নের প্রায় ২০-৩০ হাজার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র সড়কটির ব্রিজ ৩টির কাজ শেষ না করার জন্য দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসি।
বাউফল উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সুত্রে জানাযায়, বড়গুনা পটুয়াখালী গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন নামে একটি প্রকল্পের অধিনে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে কনকদিয়া, সূর্যমনি ও কালিশুরির কুমারখালি সংযোগ সড়কের তিনটি খালে ৩টি সেতু নির্মাণের জন্য সাড়ে তিন কোটি ব্যয়ে প্রকল্পের চাহিদা তৈরি করে দরপত্র আহবান করা হয়।
উক্ত কাজে দরপত্র অনুযায়ী এমএম বিল্ডার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান একটি প্যাকেজে ওই ৩টি সেতু নির্মাণের কাজটি পায়। পরে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বাউফল উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজটি সম্পন্ন করার জন্যে কার্যাদেশ দেয়। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওই প্যাকেজের দু’টি সেতুর কাজ করে সড়কের শেষ মাথায় থাকা অন্য সেতুটির পাইল গেড়ে কাজ বন্ধ করে রেখেছে।
যে দু’টি সেতু নির্মিত হয়েছে তার উভয় পাশে এ্যপ্রোচের সড়ক তৈরি না করায় ওই সেতু দু’টিও জনসাধারণ যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করতে পারছেনা।
স্থানীয়রা জানান, নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে এই সেতু তৈরি করেছে ঠিকাদারী প্রতষ্ঠিান। কার্যাদেশে অনুযায়ী এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও বাউফল উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদাসহীনতার কারনে এই সেতু তিনটির নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের পর ২ বছর অতিবাহিত হলেও হস্তান্তর হচ্ছেনা।
এ বিষয়ে সূর্যমনি ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, দ্রুত সেতু তিনটির কাজ সম্পন্ন না করা হলে আন্তঃইউনিয়ন যোগাযোগে চরম বিপাকে পরবে এই অঞ্চলের জনসাধারণ।
সেতুর পাশের দোকানি মজিবর বলেন, সেতুগুলোর কাজ শেষ না হওয়ায় এই এলাকায় এখন আর জনসমাগম হয়না, ফলে বেচা-বিক্রি কমে গেছে। সেতুগুলোর কাজ দ্রুততম সময়ে শেষ না করলে সেতুর পাশের প্রায় অর্ধশত দোকান বন্ধ হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার খবির সিকদার বলেন, স্থানীয় লোকজনের বাঁধার কারনে সেতুটির পাইল করে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। কোন অনিয়ম হয়নি সিডিউল মোতাবেক কাজ হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাঊফল উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধীদপ্তরের প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ, দু’টি সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়েছে, অন্যটির বিষয়ে কিছু সমস্যা আছে, স্থানীয় সমস্যা সমাধান হলেই সেতুটি নির্মাণ করে সড়কটি চলাচলের উপযোগী করা হবে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী তীর্থ রঞ্জন রায় স্থানীয় সাংবাদিককে বলেন, বরগুনা পটুয়াখালী প্রকল্পের মেয়াদ শেষ, কিন্তু সেতু তিনটি এতো সময়েও কাজ শেষ না হওয়ায় গাফেলতির বিষয়ে খবর নিয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply