শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২২ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:ককপিট বসে ধুমপান করছেন পাইলট। ভাবতে পারেন! এমন বিমান যে দুর্ঘটনায় পড়তে পারে তা বলা যেতেই পারে। এরকমটাই হয়েছিল কাঠমান্ডুতে ভেঙেপড়া বাংলাদেশি উড়ান সংস্থার একটি বিমানের ক্ষেত্রে।গত বছর ১২ মার্চ বিমানটি ঢাকা থেকে কাঠমান্ডু যাচ্ছিল। নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবরতণ করার সময় সেটি ভেঙে পড়ে। নিহত হন ৫১ জন। ওই দুর্ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে নেপালের অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক।দুর্ঘটনার তদন্তে গঠিত কমিশন ককপিট ভয়েস রেকর্ডারের তথ্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখতে পেয়েছে দুর্ঘটনার আগে বিমানের প্রধান চালক ধুমপান করেছিলেন। অথচ ককপিট সহ বিমানে ধুমপান কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। ওই ধুমপানের সময়ে চালকের মনসংযোগ কিছুটা ভিন্ন দিকে ঘুরে যায়। ফলে দুর্ঘটনার সময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ হন তাঁরা। তবে এই তত্ব মানতে রাজি নয় তদন্তের দায়িত্বে থাকা অন্যান্য সংস্থা।
তদন্ত গঠিত অ্যক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন কমিশন মনে করছে একেবারে শেষ সময়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হওয়াতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। শেষ সময়ে একেবারে বেপরোয়া ভাবেই বিমানটিকে রানওয়েতে নামানো হয়। এতেই দুর্ঘটনা ঘটে যায়।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের একটি বিমান।
এদিন স্থানীয় সময় দুপুর ৩.২০ মিনিটে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় বোম্বাইডার ড্যাস কিউ৪০০ বিমানটি। বিমানটি রানওয়ের বদলে এয়ারপোর্টের একটি ফুটবল মাঠে ভেঙে পড়ে।
মৃত্যু হয় ৫১ জনের। রানওয়েতে নামার বদলে বিমানটি বাইরে চলে যাওয়ার পরেই তাতে আগুন লেগে যায়।
সুত্র,জি২৪ঘন্টা
Leave a Reply