শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৭ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ লঞ্চ সংকটে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুসহ প্রায় তিন হাজার যাত্রী বরিশাল থেকে ঢাকায় যেতে পারেননি। এতে দূরদূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন। এমনকি ওইসব যাত্রীদের অধিকাংশই বরিশাল নৌ টার্মিনালে রাত কাটিয়েছে। তবে নৌ ফাঁড়ি পুলিশ নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে টার্মিনাল থেকে কিছু যাত্রী সরিয়ে দেয়ায় ভোগান্তি আরও বাড়ে।
বরিশাল নৌ ফাড়ি পুলিশের পরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বরিশাল নৌ বন্দর থেকে থেকে ঢাকামুখী লঞ্চ ছিল ৭টি। স্বাস্থবিধি মেনে বিকাল ৫টার পর ঢাকার উদ্দেশ্যে সুন্দরবন- ১০, মানামী, কীর্তনখোলা-১০, অ্যাডভেঞ্চার-১, পারবত-১২, সুরভী-৮, ও কালাম খান-১ লঞ্চ ছেড়ে যায়। যাত্রী পূর্ণ হওয়ায় সর্বশেষ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ছেড়ে যায় কালাম খান-১।
তিনি আরও জানান, বরিশাল থেকে ঢাকাগামী লঞ্চগুলো সাধারণত রাত সাড়ে ৮টার পর পর্যায়ক্রমে নৌ টার্মিনাল ত্যাগ করে। কিন্ত বৃহস্পতিবার আগেভাগে লঞ্চগুলো যাত্রীতে পূর্ণ হওয়ায় সেগুলোকে টার্মিনাল ত্যাগ করতে বাধ্য করে প্রশাসন। এতে সন্ধ্যা ৭টার পর ঘাটে এসে লঞ্চ না পেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন প্রায় ৩ হাজার যাত্রী।
বরিশালের বাবুগঞ্চ উপজেলার রাকুদিয়া গ্রামের রিন্টু সরদার পরিবারের ৬ সদস্য নিয়ে ঢাকা যাওয়ার জন্য বরিশাল নৌ বন্দরে এসেছিলেন। কিন্ত লঞ্চ না পেয়ে তিনি রাত্রি যাপনের জন্য টার্মিনালে অবস্থান নিয়েছিলেন। কিন্তু নৌ-পুলিশের কারণে তাদেরকে টার্মিনাল ত্যাগ করে বাহিরে অবস্থান করতে হচ্ছে।
ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বরিশাল নৌ বন্দরে আসা যাত্রী পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মো. শাহজাহান জানান, বৃদ্ধা মাসহ স্ত্রী সন্তান নিয়ে তিনি ঢাকায় ফিরতে বরিশাল লঞ্চ টার্মিনালে এসেছেন। লঞ্চ না পেয়ে বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে টার্মিনালেই অবস্থান করছেন তিনি।
বরিশাল নৌবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ হোসেন জানান, যাত্রী বেশি থাকায় লঞ্চগুলো নির্ধারিত সময়ের আগেই ছেড়ে গেছে। টার্মিনালে যাত্রী রাখার বিধান নেই। তাই যাত্রীদের নিজ গন্তব্যে যেতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply