বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:০৫ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বরিশাল গণপূর্ত অধিদপ্তরে মহানগর আ. লীগের সাবেক সহসভাপতি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক আলমগীর খান আলোর ওপর চড়াও হয়েছে দলীয় একদল নেতাকর্মী। বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) দুপুর পৌনে ১টায় নগরীর ভাটারখালস্থ গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের পাশের কক্ষে প্রকাশ্যে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগ, যুবলীগের কতিপয় অতি উৎসাহী নেতা বিসিবি পরিচালক আলোর সঙ্গে অশালীন আচরণ করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। খবর পেয়ে আলো অনুসারী একজন সিটি কাউন্সিলরসহ সিনিয়র ঠিকাদাররা গণপূর্ত অফিসে ছুটে গেলে উত্তেজনা দেখা দেয়।
গণপূর্তের ঠিকাদার ছাত্রলীগ নেতা বাঘা সোহেল বলেন, তিনি গিয়ে শুনেছেন ঠিকাদারি কোনো কাজ নিয়ে আলো ভাইয়ের সঙ্গে মিজান ভাইয়ের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল বুধবার (১১ মার্চ)। কিন্তু বৈঠক না হওয়ায় আলো ভাই বৃহস্পতিবার গণপূর্ত অফিসের মিজানকে দেখে উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘কিরে তোর সঙ্গে সারাদিন বসে ছিলাম, আসলি না।’
এমন মন্তব্যের পরপরই মিজানের অনুসারী অতি উৎসাহী ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরুল আহমেদ উজ্জল, নব্য ছাত্রলীগ নেতা আবির, সিদ্দিকসহ পাঁচ থেকে ছয়জন কর্মী আ. লীগ নেতা আলমগীর খান আলোর ওপর চড়াও হয়। এ সময় আশপাশের লোকজন কোনো রকম রক্ষা করেন আলো ভাইকে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত গণপূর্তের ঠিকাদার মো. আজাদ বলেন, আলমগীর খান আলো গণপূর্তের প্রবীণ ঠিকাদার। তিনি আ. লীগেরও বর্ষীয়ান নেতা। বুধবার দুপুরে গণপূর্ত অফিসে এসে আলো ভাই কথার ছলে উত্তেজিত হয়ে মিজানকে দেখে বলেন, ‘কিরে মিজান তোকে খবর দিলাম, আসলি না।’ এ সময় আলো ভাই আপত্তিকর মন্তব্য করলে মিজানের সঙ্গে থাকা কয়েকজন উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এছাড়াও আলো ভাইয়ের সঙ্গে তারা অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। তবে পরে তারা ক্ষমা চান।
গণপূর্ত অফিসের একাধিক স্টাফ নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আ. লীগ নেতা আলো গণপূর্তের প্রবীণ ঠিকাদার। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা উজ্জল দলবল নিয়ে আকস্মিক সেই আলো ভাইয়ের ওপর হামলার চেষ্টা করে। এমন ঘটনায় সকলেই বিস্মিত হন।
নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আ. লীগ নেতা জিয়াউর রহমান বিপ্লব বলেন, আলো ভাইকে লাঞ্ছিত করিয়েছে বিএনপি নেতা মিজান। ঝালকাঠির সাবেক বিএনপি দলীয় এমপি আজিজ গাজির অনুসারী নাসির খানের স্টাফ হিসেবে কাজ করে মিজান। গত ২ বছর গণপূর্তের যত টেন্ডার হয়েছে তার প্রায় ২ থেকে ৩শ কোটি টাকার টেন্ডার খান বিল্ডার্সের নামে মিজান বাগিয়ে নিয়েছে। তিনি খবর পেয়ে গণপূর্ত অফিসে গিয়েছিলেন। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের পাননি। তবে ঠিকাদার মিজান বলেন, ‘আমরা মামা-ভাগিনা। আলো মামায় আমাকে কথার ছলে গালিগালাজ করেছে। পরে সিনিয়ররা বসে মিটিয়ে দিয়েছেন। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের গণপূর্ত ঠিকাদার সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী বাঘার উপস্থিতিতে ক্ষমা চাওয়ানো হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে বরিশাল মহানগর আ. লীগের সাবেক সহসভাপতি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক আলমগীর খান আলো বলেন, ‘আমি ওদের সিনিয়র। ওরা সবাই আমার ভাগিনা। সবাই কি আমাকে চিনেন? ওদের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই।’
Leave a Reply