বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ঢাকা-বরিশাল ও কুয়াকাটা মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার প্রাক প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। সেলক্ষ্যে বরিশাল জেলার আওতাভূক্ত মহাসড়কের ৭৬ কিলোমিটার অংশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম উচ্ছেদের প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সওজের বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার সীমানা ভূরঘাটা থেকে লেবুখালী ফেরীঘাট পর্যন্ত মহাড়কের দুইপাশের অবৈধ স্থাপনায় বুধবার থেকে লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করার মধদিয়ে এ কাজ শুরু করা হয়েছে। এ কাজ সম্পন্ন করে চলতি মাসের শেষের দিকে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।
নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ খান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ভয়েস অব বরিশালকে বলেন, ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে পায়রা সমুদ্র পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার প্রাক প্রস্তুতি হিসেবে মহাসড়কের দুইপাশ দখলমুক্ত করা হবে। তারই অংশহিসেবে বরিশাল জেলার আওতাভূক্ত ভুরঘাটা থেকে লেবুখালী ফেরীঘাট পর্যন্ত মহাসড়কের সওজের অধিগ্রহনকৃত জমিতে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলতি ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যেই শুরু হবে।
সওজ সূত্রে আরও জানা গেছে, লাল রং দিয়ে চিহ্নিতকরনের কাজ শেষ হলে দখলদারদের সাতদিন থেকে সর্বোচ্চ ১৫দিন সময় দেয়া হবে স্বেচ্ছায় স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য। উচ্ছেদ করার তিনদিন আগে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইকিং করা হবে। তবে দখলদারদের কাগজের নোটিশ দেয়া হবেনা। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেব্রুয়ারীর শেষ সপ্তাহে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে।
নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ খান আরও জানান, উচ্ছেদ অভিযান চালাতে জেলা প্রশাসকের কাছে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট চাওয়া হয়েছে। এছাড়া নিজস্ব জনবলও সংগ্রহ চলছে। চলতি ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যেই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে পারবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সূত্রমতে, ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের ১১ কিলোমিটার রয়েছে বরিশাল মহানগরীর মধ্যে। চারলেন উন্নীত করার জন্য এ ১১ কিলোমিটারে নতুন করে জমি অধিগ্রহন করা হবেনা বলে নিশ্চিত করেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী। তিনি বলেন, চারলেনের জন্য প্রয়োজনীয় ১২০ ফুট প্রশস্ত জমি ১১ কিলোমিটারে রয়েছে। ফলে নতুন করে জমি অধিগ্রহন করতে হবেনা। তবে সওজের জমিতে থাকা দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, নগরীর কাশিপুর বাজার থেকে সিঅ্যান্ডবি রোড হয়ে আমতলার মোড় পর্যন্ত ৪ কিলোমিটরে ৯৫৭টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে লাল রং দেয়ার কাজ আগেই সম্পন্ন হয়েছে। তারমধ্যে সাত শতাধিক হচ্ছে আধাপাকা স্থাপনা। বহুতল ভবন পুরোপুরি না থাকলেও সিঅ্যান্ডবি রোডে কিছু কিছু ভবনের আংশিক সওজের জমিতে থাকায় সেগুলোও উচ্ছেদ করা হবে।
Leave a Reply