বরিশালের এক গ্রামে দুই শতাধিক বাঁশের সাঁকো Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৭ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




বরিশালের এক গ্রামে দুই শতাধিক বাঁশের সাঁকো

বরিশালের এক গ্রামে দুই শতাধিক বাঁশের সাঁকো




নিজস্ব প্রতিবেদক॥  চারিদিকে শুধু খাল ও বিলে ঘেরা। একটি মাত্র রাস্তা। তারমধ্যে ছোট ছোট দ্বীপের মতো গাছগাছালি ঘেরা ঘরবাড়ি। এরই ফাঁক ফোকর দিয়ে ছোট-বড় প্রায় দুই শতাধিক কাঠ ও বাঁশের সাঁকো। দুই-একটা স্থায়ী নৌকার ঘাট।

অধিকাংশ বাড়ির সামনে বাঁধা রয়েছে ছোট ছোট নৌকা। এই চিত্র জেলার উজিরপুর উপজেলার প্রত্যন্ত বিলাঞ্চল বলেখ্যাত হারতা ইউনিয়নের দক্ষিণ নাথারকান্দি গ্রামের। প্রায় সাত হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের হারতা ইউনিয়নে জনসংখ্যা ২৫ হাজারের অধিক। এরমধ্যে ৬নং ওয়ার্ড দক্ষিণ নাথারকান্দি গ্রামের জনসংখ্যা সাড়ে চার হাজার।

ঘণবসতিপূর্ণ এ গ্রামটিতে বছরের অধিকাংশ সময়ই যাতায়াত করতে হয় পানি পেরিয়ে। গ্রামে একটি মাত্র রাস্তা। সেটিও কাঁচা। আর রাস্তাটির এক থেকে দুইশ’ গজ পরপরই ছোট বড় প্রায় দুই শতাধিক ভাঙাচোরা সাঁকো। কোথাও আবার লোহার পাতের ওপর কাঠ ও সুপারি গাছ বিছিয়ে যাতায়াত করছেন গ্রামবাসী।

শুকনো মৌসুমে খাল ও বিলের পানি কিছুটা কমে আসলে চলাচলে অযোগ্য বেহালদশার সাঁকো সংযুক্ত কাঁচা রাস্তা দিয়েই বাধ্য হয়ে যাতায়াত করতে হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের। বর্ষা মৌসুমে গ্রামটি একটি দ্বীপে রূপ নেয়। চারদিকে পানি আর পানি।

তখন যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকলেও নাগরিক সেবা বলতে সবকিছু থেকেই বঞ্চিত রয়েছেন পুরো গ্রামবাসী। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে অদ্যবর্ধি গ্রামটিতে লাগেনি কোন উন্নয়নের ছোঁয়া।

ফলে গ্রামবাসীর যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো আর নৌকার ওপর। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার হারতা বাজার সংলগ্ন নৌকা ঘাট (দক্ষিণপাড়) থেকেই অবহেলিত গ্রামটি শুরু। এই ঘাট থেকে কঁচা নদী পাড় হয়ে কিছুদূর এগুলেই বাঁশের সাঁকো শুরু। ছোট ছোট খালের ওপর স্থানীয় বাসিন্দারা যাতায়াতের সুবিধায় নিজেরাই এসব সাঁকো তৈরি করেছেন।

এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি ও গ্রামের একমাত্র কাঁচা রাস্তায় ওঠার জন্য সাঁকোগুলো তৈরি করা হয়েছে। দক্ষিণ হারতা বাজার থেকে পশ্চিম দিকে এগুলেই বোঝা যায় কতোটা উন্নয়নবঞ্চিত দক্ষিণ নাথারকান্দি গ্রামের বাসিন্দারা।

দক্ষিণ নাথারকান্দি গ্রামটির যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই খারাপ বলে উল্লেখ করে হারতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হরেন রায় বলেন, নিজের এলাকার জন্য তেমন কোন কাজ পাইনি। তাই ইচ্ছে থাকা সত্বেও অবহেলিত গ্রামটির উন্নয়নের জন্য কোন কাজ করতে পারছিনা।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD