মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ শ্রমিক দিয়ে কাজ না করার অভিযোগে বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত কাজের বিনিময় খাদ্য কর্মসূচির ৬ মেট্রিক টন গম বামনা খাদ্য গুদাম থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতে নাতে জব্দ করেন বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা সুলতানা।
গতকাল সোমবার (২১ জুলাই) ইউএনও’র নির্দেশে ওই গম জব্দ করে গুদামে ফেরত পাঠানো হয় এবং প্রকল্প কমিটির সভাপতিকে পুনরায় স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের গুদিকাটা গ্রামে কাজের বিনিময় খাদ্য (কাবিখা)’র কর্মসূচির জন্য খাদ্য শস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মো. শাহজাহান ফরাজীর বাড়ী থেকে আরম্ভ করে মো. জয়নালের বাড়ী পর্যন্ত মাটির রাস্তা প্রসস্তকরণ প্রকল্পের অনুকূলে ৬.৪৩৬ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই প্রকল্পের সভাপতি ওই গ্রামের ইউপি সদস্য মো. মঈনুল ইসলাম মঈন সিকদার।
অভিযোগ উঠেছে, তিনি ওই প্রকল্পে কোনো শ্রমিক নিয়োগ না করে স্কেবেটর দিয়ে মাটি কেটে রাস্তাটি প্রসস্ত করছেন এবং শ্রমিকদের অনুকূলে বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্য নিজেই আত্মসাৎ করার চেষ্টা করতে ছিলেন।
বামনা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, কাজের বিনিময় খাদ্য কর্মসূচির (কাবিখা) বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্য ওই প্রকল্পের নিয়োজিত স্থানীয় শ্রমিকদের মাঝে দেওয়া হয়।
তবে প্রকল্প কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য মো. মঈনুল ইসলাম মঈন সিকদার কাবিখা কর্মসূচির মাটির রাস্তা প্রসস্তকরণ প্রকল্পে কোনো শ্রমিক না ব্যবহার করে যান্ত্রিক স্কেবেটর দিয়ে সড়ক প্রসস্ত করেন। ফলে তিনি শ্রমিকদের কোনো প্রকার খাদ্যশস্য না দিয়ে নিজেই সব আত্মসাতের চেষ্টাকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা সুলতানা খাদ্য গুদামের সামনে থেকে ওই খাদ্যশস্য জব্দ করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মো. মঈনুল ইসলাম মঈন সিকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কাবিখা প্রকল্পের কাজ আমি এই প্রথম করেছি। তাই আমি জানতাম না এ কাজ শ্রমিকদের দিয়ে করাতে হয়। আমি চেয়ারম্যানের নির্দেশে স্কেবেটর দিয়ে মাটির রাস্তাটি প্রসস্তকরণের কাজ করেছি।
বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা সুলতানা বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি স্থানীয় শ্রমিকদের সম্পৃক্ত না করে যন্ত্র দিয়ে ওই প্রকল্পের কাজ করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আমি ওই এলাকায় বরাদ্দের খাদ্যশষ্য জব্দ করেছি। ইউপি সদস্য পুনরায় শ্রমিক দিয়ে বাকি কাজ করালে ওই খাদ্যশস্য তখন প্রদান করা হবে।
Leave a Reply