সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার বামনায় জমি নিয়ে বিরোধের জেড়ে মা ও মেয়েকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন ৩নং রামনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জমাদ্দার ও তার সহযোগী রাজু জমাদ্দার। গুরুতর আহত ওই মা ও মেয়েকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও হামলাকারীদের বাধায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়নি। অবশেষে তারা ৯৯৯ নম্বরে কল করলে হামলার ৬ ঘণ্টা পরে বামনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারীদের কবল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।
মারধরের শিকার ওই নারীরা হলেন, ওই ইউনিয়নের উত্তর রামনা গ্রামের মৃত্যু ইউসুফ খানের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম(৫৮) ও তার মেয়ে পারুল বেগম(৩৫)।
গত রবিবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে একটি গোয়ালঘর উত্তোলনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের ওই প্রভাবশালী নেতা ও তার গাড়ি চালক তাদের ওপর এ হামলা চালায়। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় ৯৯৯ -এ কল পেয়ে বামনা থানা পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে বামনা হাসপাতালে ভর্তি করান। তারা বর্তমানে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত বামনা থানায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন ওসি হাবিবুর রহমান।
গুরুতর আহত পারুল বেগম বলেন, ‘আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে একটি গোয়ালঘর নির্মাণের সময় সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ও তার সহযোগী রাজু এসে বাধা দেয়। তাদের দাবি ওই সম্পত্তি তাদের। অথচ আমরা বিগত ৫০ বছর ধরে ওই সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছি। গত রবিবার দুপুরে সাবেক চেয়ারম্যান ও তার গাড়ি চালক এসে এলাপাথারি আমাদের পিটাতে থাকে। তাদের হামলায় আমার ও মায়ের মুখমণ্ডল ও বুকে প্রচণ্ড আঘাত পাই। আমরা হাসপাতালে আসতে চাইলেও দুই দুইবার তারা দু’জনে আমাদের গাড়ি থেকে টেনে-হিচড়ে নামিয়ে দেয়। পরে ৯৯৯-এ কল করে পুলিশের সহায়তা চাই। পরে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি করান। এ সময় হাসপাতালে এসেও ওই সাবেক চেয়ারম্যান আমাদের হুমকি-ধামকি প্রদান করেন।
অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম জমাদ্দার বলেন, আমার সম্পত্তি দখল করে ওই নারীরা গোয়ালঘর তুলছে। আমি অনেক বার নিষেধ করলেও তারা তা ভ্রুক্ষেপ করেননি। তবে আমি তাদের ওপর কোনো প্রকার হামলা করিনি। হয়তো দু’একটি ধাক্কা দিয়েছি।
বামনা থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ৯৯৯-এ কল পাওয়ার পরে আমাদের পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই দুই মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তারা বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে এখন পর্যন্ত আহতদের পক্ষে কেউ থানায় এসে কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Leave a Reply