শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৬ অপরাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার পাথরঘাটায় হাড়িটানা ছালেহিয়া দাখিল মাদরাসার এক ছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে তিন কিশোরকে গুরুতর আহত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পাথরঘাটার পদ্মা সড়কের আলমের দোকানের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগের দিন রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ‘তুমি আর আমি’ নামে একটি ম্যাসেঞ্জার হামলার প্রস্তুতি নেয়া হয়। রাহাত, রাব্বি ও ইমরান ওই ম্যাসেঞ্জারে রামদা ও লোহার পাইপ দিয়ে হামলা করা হবে এমন ছবিও দেয়া হয়।
আহতরা হলো- পশ্চিম হাড়িটানা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে মো: রাকিব (১৫), মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে জাকারিয়া (১৫) ও লাল মিয়া খানের ছেলে ইমরান (১৭)। হামলাকারীদের ভয়ে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্থানীয় পর্যায় চিকিৎসা নিয়েছেন। ঘটনার পরপরই এক সংবাদকর্মীর মুঠো বার্তার ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
আহতেদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাদরাসার অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীর (১৪) সাথে একই এলাকার এসএসসি পরীক্ষার্থী মো: রাকিবের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এ দিকে একই মাদরাসার নবম শ্রেণীর ছাত্র রাব্বি ওই ছাত্রীকে পছন্দ করতো। তাতে রাজি না হওয়ায় ওই ছাত্রীকে রাব্বি পথেঘাটে উত্ত্যক্ত করতো।
সবশেষ সোমবার উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করে প্রেমিক রাকিব। এর জের ধরে ‘তুমি আর আমি’ নামে একটি ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে রাব্বি, রাহাত ও ইমরান রাকিবকে মারধর করার জন্য পরিকল্পনা করে। ওই ম্যাসেঞ্জার গ্রপের মেম্বার ছিল রাকিব ও ওই ছাত্রী।
পরিকল্পনা অনুযায়ী মঙ্গলবার রাব্বি, রাহাত, ইমরানসহ ছয়-সাতজন কিশোর গ্যাং সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কোড়ালিয়া বাজার থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে হাড়িটানা আলমের দোকানের পাশে রাকিবের ওপর হামলা করে। এ সময় রাকিবকে রক্ষা করতে এসে জাকারিয়া ও ইমারনও হামলার শিকার হয়। এতে জাকারিয়ার ডান হাত ভেঙে যায়। রাকিবও গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে রামদা, হকিস্টিক ও লোহার পাইপ উচিয়ে বীরদর্পে স্থান থেকে চলে যায় হামলাকারীরা।
অভিযুক্ত রাহাতের বাড়িতে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে রাহাতের বাবা সোহরাব হোসেন বলেন, আমার ছেলে মাদকাসক্ত। ওকে আমি বারবার নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বলেন, একজন সাংবাদিকের ফোন পেয়ে বিষয়টি শুনেই ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি।
পাথরঘাটা সার্কেল এএসপি তোফায়েল হোসেন সরকার বলেন, আমি ম্যাসেঞ্জার গ্রুপের পরিকল্পনা দেখেছি। আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। এ বিষয় অপরাধীরা কেউ ছাড় পাবে না।
Leave a Reply