সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ করোনাভাইরাসের কারণে কোনো কাজ করতে না পেরে কর্মহীন হয়ে পড়ে বরগুনার তালতলীর উপজেলার এক পরিবার। এ জন্য খাদ্য সংকটে পড়ে তারা। পরে ত্রাণ দেওয়ার নামে স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার খান দিনমজুর ওই পরিবারের মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসের কারণে খাদ্য সংকটে পড়ে তারা। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানাতে গত সোমবার (৬ এপ্রিল) তাদের নাম সরকারি সহায়তার তালিকাভুক্ত করার জন্য ইউপি সদস্যের কাছে যান ভুক্তভোগীর মেয়েটির বাবা। তিনি সে সময় তার মেয়েকে সবার ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে আসতে বলেন। পর দিন মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে ওই দিনমজুরের বিবাহিত মেয়ে ইউপি সদস্যর বাড়িতে গেলে তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ওই মেয়ের স্বামী ইউপি সদস্যর বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি দেখে ফেলেন। এই ঘটনা কাউকে বললে খুন করারও হুমকি দেওয়া হয়। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ভুক্তভোগী দিনমজুর পরিবার থানায় মামলা করলে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেওয়া হয়। ভুক্তভোগী মেয়ের দাবি, তার স্বামীকে তুলে নিয়ে গেছে ইউপি সদস্য। বুধবার পর্যন্ত তার স্বামীর কোনো খোঁজ মেলেনি। এ ছাড়া তার পরিবারটিকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর বাবা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি দিনমজুরের কাজ করি। এই করোনাভাইরাসের কারণে আমি অসহায় দিনযাপন করছি। এর ভেতরে আমার মেয়ে তার স্বামীকে নিয়ে বেড়াতে আসেন বাড়িতে। তাই আমার সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়। স্থানীয় মেম্বার আনোয়ার খানের কাছে গেলে সে আমার মেয়েকে সবার ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে তার বাড়িতে যেতে বলেন। পরে বিকেলের দিকে তার বাড়িতে আমার মেয়ে গেলে বাড়িতে কেউ না থাকায় ধর্ষণ করেন। এই ঘটনায় মামলা করলে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আনোয়ার খান বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। এগুলো সব মিথ্যা। এই মেয়ে যাকে স্বামী হিসেবে পরিচয় দেয় সে আসল স্বামী না। তাকে তুলে আনা হয়নি বরং ছেলেটিকে তার পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি এখনি। আর অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply