সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০২ পূর্বাহ্ন
তালতলী প্রতিনিধি॥ বরগুনার তালতলী সদর উপজেলায় ক্রেতাকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন রুচিতা হোটেলের মালিক মঞ্জু মিয়া। হোটেলের তালাবন্ধ করে সকালে নাস্তা করতে আসা ক্রেতা ইসমাইল হোসেনকে (২৫) বেধড়ক মারধর ও পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় মঞ্জু মিয়াসহ তার কর্মীরা। শুক্রবার (১৯ মার্চ) সকাল নয়টায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই ক্রেতা বরবগী ইউনিয়নের বাসিন্দা জালাল কসাইয়ের ছেলে ইসমাইল হোসেন।
সূত্র জানায়, ইসমাইল হোসেন সকালবেলা নাস্তা করতে রুচিতা হোটেলে আসে কিন্তু হোটেলের কর্মচারীরা প্রায় আধাঘণ্টা ইসমাঈলকে নাস্তা না দিয়ে বসিয়ে রাখে এতে ইসমাইল শ্রমিকদের সাথে তর্ক-বিতর্ক করে একপর্যায়ে ওই হোটেলের শ্রমিক হারুন ইসমাইলকে কিল-ঘুষি মারে। পরে হোটেলের মালিক মঞ্জু মিয়া হোটেলের শাটার বন্ধ করে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। ইসমাইলের ডাক চিৎকারে আশপাশের মানুষজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
রুচিতা হোটেলের মালিক মঞ্জু মিয়া জানান, ইসমাইল আমার কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচরণ ও তাদেরকে গালিগালাজ করে আমি পরিস্থিতি থামানোর জন্য গেলে আমাকেও গালিগালাজ করে ইসমাইল এক পর্যায়ে হোটেলের একটি খুঁটির সাথে ধাক্কা খেয়ে তার মাথা ফাটে, তাকে কেউ লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটেনি।
শাটার বন্ধ করে মারধরের কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, আশেপাশের মানুষজন দোকানের ভিতরে ঢুকে ভিড় জমাচ্ছে এ কারণেই শাটার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তাকে শাটার বন্ধ করে মারধর করা হয়নি।
আহত ইসমাইল হোসেন জানান, পূর্ব পরিকল্পনা করে আমার উপর হামলা করেছে মঞ্জু ও তার হোটেল শ্রমিকরা। শাটার বন্ধ করে দোকানের ভিতরে বেধড়ক মারধর করে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয়। মেরে ফেলতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ করেন ইসমাইল।
এ বিষয় তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া জানান, ঘটনাটি শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনা স্থানে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে কোনও পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply