বরগুনায় করোনাভাইরাসের প্রভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে শুঁটকি ব্যবসা Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




বরগুনায় করোনাভাইরাসের প্রভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে শুঁটকি ব্যবসা

বরগুনায় করোনাভাইরাসের প্রভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে শুঁটকি ব্যবসা

বরগুনায় করোনাভাইরাসের প্রভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে শুঁটকি ব্যবসা




বরগুনা প্রতিনিধি॥ উপকূলীয় বরগুনার বিভিন্ন চরে তিন মাস ধরে চলছে শুঁটকি পল্লীতে শুটকি তৈরির কাজ। তবে করোনাভাইরাসের প্রভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে এবারের শুঁটকি ব্যবসা। জেলার লালদিয়া, আশারচর, সোনাকাটা, জয়ালভাঙ্গা চরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ৬ হাজার নারী-পুরুষ শুঁটকি তৈরির জন্য আসেন। জেলার ২০০ শুঁটকি পল্লীতে নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত ৫ মাস ধরে চলে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণের কাজ। এই শুঁটকি চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর, খুলনা ও জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান হয়। আশারচরে ২১টি মালিকানার শুঁটকি ব্যবসায়ী রয়েছেন।

 

 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আগে শুঁটকি বিক্রির যে হার ছিল কারোনাকালে সেই হার কয়েকগুণ কমেছে। শুঁটকি ব্যবসায়ীদের দাবি, করোনার আগে যেসব শুঁটকি ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে সেসব শুঁটকি পরে বিক্রি হয়েছে ২-৩ শ’ টাকায়। করোনাকালীন এবং বর্তমানে বেশির ভাগ শুঁটকি কোল্ড স্টোরেজে না রাখার কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

 

 

ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে জানা যায়, করোনাভাইরাসের কারণে বিক্রি হচ্ছে না শুঁটকি। শুঁটকির মৌসুমও শেষের পথে। ফলে ক্রেতারাও এখন শুঁটকি কিনছেন না। তাই ব্যবসা অনেকটা মন্দা। মন্দা কাটিয়ে উঠতে আগামী মৌসুমের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

 

 

শুঁটকি ব্যবসায়ী মালেক বলেন, আমি এই এলাকায় শুঁটকি ব্যবসার সাথে প্রায় ৩০ বছর ধরে জড়িত। কিন্তু এ বছর শুঁটকির চাহিদা না থাকায় কয়েকগুন লোকসান গুণতে হবে। যা বিগত অন্য কোনো বছরে হয়নি। এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে প্রায় তিন থেকে চার বছর লাগবে।

 

 

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব  বলেন, এ বছরের ক্ষতিগ্রস্ত শুঁটকি ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরী করে সরকারিভাবে তাদের প্রণোদনা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও সকল ব্যবসায়ীদেরকে সরকারিভাবে ঋণ দেয়ার জন্য একটি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD