শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৭ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি।।ভোলায় ফেইসবুক স্টাটাসকে কেন্দ্র করে আক্রশ বশত বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়াত ওয়াদুদ গল্প নামের এক এসএসপি পরীক্ষার্থীর এমসিকিউর উত্তরপত্র টেনে নিয়ে বসিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে।আজ দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তুলে পরীক্ষার্থী রুবাইয়াত ওয়াদুদ গল্প নির্বাহী কর্মকর্তার বিচার দাবি করেন। পাশপাশি সে পরবর্তী পরীক্ষাগুলোও বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন। সংবাদ সম্মেলনে তার বাবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শেখ ফরিদ এব মা গৃহিনী হুমায়রা শুরভী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে রুবাইয়াত অভিযোগ করেন, কয়েক মাস আগে বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত সাহিত্য সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিচার কার্যে পক্ষপাত মূলক আচরণের অভিযোগ তুলে রুবাইয়াত তার ফেইসবুক পেইজে স্টাটাস দিয়েছিল। ওই স্টাটাসকে কেন্দ্র করে বোরহানউদ্দিন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস এর সাথে রুবাইয়াতের ফেইসবুকে বাকবিতন্ডা চলে। এর এক পর্যায়ে নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়াতকে দেখে দেয়ার হুমকিও প্রদান করেন।
এরপর গত ২ ফেব্রুয়ারি বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা শুরুর ১০ মিনিট পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গিয়ে রুবাইয়াত ওয়াদুদ গল্পের পরীক্ষার কক্ষে গিয়ে এমসিকিউ উত্তর পত্র টেনে নিয়ে ১৫ মিনিট বসিয়ে রাখার নিদের্শ দেন কক্ষ পরিদর্শককে।
কক্ষ পরিদর্শক ১৫ মিনিট পর তাকে উত্তরপত্র ফেরত দিয়েছেন। কিন্তু ভয়ে ও মানসিক চাপে সে কিছুই লিখতে পারেনি। রুবাইয়াতের অভিযোগ, পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার ক্ষতি করতে পারেন এই ভয়ে ও আতঙ্কে পরবর্তী পরীক্ষাগুলো বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় রুবাইয়াতের বাবা-মাসসহ স্বজনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিচার দাবি করে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
গল্পর বাবা শেখ ফরিদ বলেন,আমার ছেলে গল্প যখন পরীক্ষা দিচ্ছে পাশ করার জন্য নয়। ভালো রেজাল্ট করার জন্য। যেহেতু প্রশাসন আমার ছেলের সাথে বৈষ্যম মূলক আচরন করেছে । যেহেতু প্রশাসন আমার বৈষম্য মূলক আচরন করে ছেলের ক্ষতি করেছে তার জন্য উপযুক্ত বিচার দাবী করছি।
এদিকে ভোলার জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ আলম সিদ্দিক বলেন, তিনি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। যথাযথ তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
Leave a Reply