সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫০ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে গৃহকর্মীর কাজ করেন। এর মাধ্যমে যা আয়, তা দিয়ে চলে তিন সন্তান নিয়ে হোসনেয়ারা বেগমের সংসার। পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার বাসিন্দা তিনি। ১০ বছর আগে স্বামী নিরুদ্দেশ। সন্তানদের নিয়ে হোসনেয়ারার থাকার মতো একটি ভালো ঘরও নেই। তিন সন্তান নিয়ে অনেক কষ্টে সংসার চালাতে হয় তাকে। তবুও তার ভাগ্যে জোটেনি সরকারি ঘর। বর্তমানে সন্তানদের নিয়ে মা হোসনেয়ারা একটি জড়াজীর্ণ ঝুপড়িঘরে ঝুঁকি নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে এক ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে ওই ঝুপড়িতে থাকছেন তারা। ভাঙা ঘরে ঝড়-বৃষ্টিতে রাত-দিন আতঙ্কের মধ্যে বাস করছে পরিবারটি। ভূমিহীন হিসেবে সরকারিভাবে পাওয়া ছয় শতক জমি শেষ সম্বল হোসনেয়ারার। ওই জমিতেই ঝুপড়িঘরে বসবাস।
উপজেলার ৪ নম্বর চিরাপাড়া ইউনিয়নের চিরাপাড়া গ্রামে রাসেল হোসেনের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম। স্বামী রাসেল ১০ বছর আগে স্ত্রী-সন্তাদের রেখে নিরুদ্দেশ হন। স্বামীর খোঁজখবর না পেয়ে হোসনেয়ারা অন্যের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে যা পান তা দিয়ে সন্তানদের নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটান। তারপক্ষে একটি নতুন ঘর তৈরি করার স্বপ্ন দেখা একেবারেই অবাস্তব। তিনি আশা করছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী, মুজিববর্ষে হয়তো সরকারের পক্ষ থেকে নতুন একটি ঘর পাবেন। যে ঘরে সন্তানদের নিয়ে একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন। কিন্তু এমন আশাও বাস্তব হওয়া যেন অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। ঝড় বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে ঝুপড়িতে মানবেতর জীবনযাপনই যেন হোসনেয়ারাদের নিয়তি!
হোসনেয়ার আক্ষেপ সরকার এত ঘর তৈরি করে মানুষকে দিচ্ছে। অথচ বারবার আবেদন করেও কোনো ঘর বরাদ্দ পেলাম না। ভাগ্যই মনে নয় খারাপ!
এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: খালেদা খাতুন রেখা জানান, যাদের ঘর নেই, জমি নেই- অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের ঘর নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। জমি আছে, ঘর নাই- তাদের তালিকা হচ্ছে। এ তালিকার মধ্য থেকে হোসনেয়ারা বেগমকে ঘরের ব্যবস্থা করা হবে।
Leave a Reply