সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন
বরগুনা সংবাদদাতা॥ একটি কুচক্রী মহল তাদের কুকর্ম আড়াল করতে মিন্নিকে ফাঁসাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। তিনি বলেন, ‘আমি সর্বস্তরের মানুষের কাছে এটাই নিবেদন করবো, এই খুনি চক্রকে বাঁচানোর জন্য যে পাঁয়তারা চলছে সেখানে আমি একা লড়াই করে পারবো না। আমি চাই আপনারা আমার পাশে থেকে আমার মেয়ের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সহায়তা করুন।’
রবিবার (২১ জুলাই) নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন নামঞ্জুর হলে বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন মিন্নির বাবা।
এসময় তিনি বলেন, ‘আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তার (মিন্নির) জামিন আবেদন করেছি। কিন্তু জামিন হয় নাই, বিচারক নামঞ্জুর করেছেন। এতে আমাদের ক্ষোভ নেই। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি একটা কথা বলতে চাই, বিভিন্ন মহলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সাক্ষী আজ আসামির কাঠগড়ায়।’
আদালতে জামিন না পাওয়া প্রসঙ্গে মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘আমার মনে হয় এর পেছনেও প্রভাবশালী মহলের হাত রয়েছে। যারা নয়ন বন্ড তৈরি করছে, তারাই আমার মেয়ের পেছনে লেগেছে।’
কারা এই মহল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি সত্য কথা বললে এই শহরে টিকতে পারবো না।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও তাদের দমাতে পারেননি। গুরুতর আহত রিফাতকে ওইদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এই ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও পাঁচ-ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। গত ২ জুলাই ভোরে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। পরে মিন্নিকেও রিফাত হত্যা মামলার আসামি করে গ্রেফতার দেখানো হয়। মিন্নিসহ এখন পর্যন্ত ১৪ আসামি আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Leave a Reply