বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীতে বিভিন্ন নদীর তীরে ব্যাঙের ছাতার মতো অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠছে ইটভাটা। ভাটায় ইট পোড়ানোর কালো ধোঁয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পরিবেশ। বিরূপ প্রভাব পড়ছে মানবদেহে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া গ্রামে বিসমিল্লাহ ব্রিকস, সদর উপজেলার লোহালীয়া নদীর তীরে দুটি ইটভাটা, বাউফল উপজেলার নাজিরপুর, দুমকি-বগা প্রধান সড়কের পাশে নামবিহীন অসংখ্য ইটভাটায় প্রতিনিয়ত ব্যবহৃত হচ্ছে কৃষিজমি, নদীর তীর ও লোকালয়ের মাটি, পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। কাঁলো ধোয়া ও বিষাক্ত বর্জ্যে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ।
নাম ছাড়া এসব ইটভাড়া স্থাপন করা হচ্ছে লোকালয়, কৃষি জমি, নদীর তীরে। পোড়ানো হচ্ছে উর্বর জমি, নদীর তীরের মাটি ও বনের কাঠ নাম ছাড়া এসব ইটভাড়া স্থাপন করা হচ্ছে লোকালয়, কৃষি জমি, নদীর তীরে। পোড়ানো হচ্ছে উর্বর জমি, নদীর তীরের মাটি ও বনের কাঠ
পটুয়াখালী সিটিজেন হেলথ কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মিঠুন চন্দ্র বলেন, অবৈধ ইটভাটায় সৃষ্ট দূষণে বয়স্ক ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইটভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে মানুষের ফুসফুসে সমস্যা, শ্বাসকষ্ট ও ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) পটুয়াখালীর সাবেক নেতা সোলায়মান হোসেন বলেন, পটুয়াখালীর ইটভাটাগুলোতে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে জ্বালানি কাঠ। এতে উজাড় হচ্ছে বন। আইনে নিষেধ থাকলেও বেশিরভাগ ভাটা স্থাপন করা হয়েছে লোকালয়, কৃষি জমি, নদীর তীরে। যা মানুষ ও প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, পটুয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ইটভাটার সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব ইটভাটা পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অধিকাংশ ইটভাটা ধ্বংস করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply