শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল :
তিন বছর পূর্বের বিদ্যূৎ বিল বকেয়ার অজুহাতে অফিসিয়াল নিয়মের বাহিরে লাইনচ্যূত করতে গিয়ে এক গ্রাহকের রোষানলে পড়েছে বিদ্যূৎ বিভাগের লাইনম্যান ও তার সহকর্মীরা।ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নগরীর রুপাতলী এলাকার উকিলবাড়ি সংলগ্ন ইলিয়াস মাঝির বাড়িতে।তবে রোষানলের বিষয়টি স্বীকার করলেও অফিসিয়াল নিয়মেই লাইনচ্যুত করতে গিয়ে এমন ঘটনার সূত্রপাত বলে দাবী ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন (পিডিবি)‘র।বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে উপরস্থ কর্মকর্তার নির্দেশে ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি বলে জানিয়েছেন কালিজিরা ফিডার ইনচার্জ মোঃ শহিদ।গ্রাহক ইলিয়াস মাঝির ছেলে মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন,ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন (পিডিবি) ২০১৫ সালে আমাদের কাছে যে বিদ্যূৎ বিল পাওনা দাবী করে তার কোন সত্যতা নেই।যে মিটারে বিল দেখানো হয়েছে সেই মিটারে কোন সংযোগই নেই।এমনকি বিদ্যূৎ অফিস থেকে পাওনার বিষয়ে আমাদেরকে কখনোই জানানো হয়নি।এমতবস্থায় গত শনিবার অফিসিয়াল নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না মেনে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে লাইনম্যান কুদ্দুস ওরফে ছ্যাচড়া কুদ্দুস তার সাথে দুইজন সহকর্মী নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে তিন বছর পূর্বের বকেয়া ৪৫ হাজার টাকা বিদ্যূৎ বিল দাবী করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পায়তারা চালায়।
এসময় মিজান (আমি) বিদ্যূৎ বিলের কাগজটি দেখতে চাইলে একটি পত্র বের করে দেয় লাইনম্যান।কিন্তু সেই কাগজে বিদ্যূৎ কর্তৃপক্ষের কোন স্বাক্ষর না থাকায় আমার সন্দেহের সৃষ্টি হয়।আর এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে লাইনম্যান কোন উত্তর দিতে পারেনা।এর ফলে তাদের সাথে বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে তারা।মিজান মাঝি বলেন,নিয়ম মেনেই প্রতিমাসে বিদ্যূৎ বিল পরিশোধ করে আসছি।তবে অনেক সময়ে এ বিল অফিসিয়ালভাবে না দেয়ার জন্য আমাদের কাছ থেকে মাসোহারা বাবদ ফিডার ইনচার্জ শহীদ ওরফে ডাবল শহীদ ২০ হাজার টাকা করে উৎকোচ নিতো।সম্প্রতি টাকা বন্ধ করে অফিসে গিয়েই নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিল পরিশোধ করি।আর এতেই আমার উপর ক্ষিপ্ত হয় শহিদ।এরই ধারাবাহিকতায় একটা ভূয়া বিলের কাগজ তৈরী করে শহিদ তার লাইনম্যানকে শনিবার অফিসিয়াল নিয়ম ছাড়াই আমাদের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করতে পাঠায়।এ সময় লাইন না কাটা বাবদ মুঠোফোনে পুনরায় বিশ হাজার টাকা দাবী করে শহিদ বলেন তিনি।এদিকে গ্রাহকের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ফিডার ইনচার্জ শহিদ বলেন,আমি কোন মাসোহারা নেই না।২০১৫ সালের আনুমানিক ৪৫ থেকে ৪৬ হাজার টাকার একটি বিদ্যূৎ বিল মিজানের বাবা ইলিয়াস মাঝির কাছে পাওনা থাকে।বিষয়টি সম্প্রতি অফিসিয়াল অডিটে প্রকাশ পেলে অফিসিয়াল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ইলিয়াস মাঝির লাইনটি কেটে দেয়ার সুপারিশ করা হয়।এর ন্যায় শনিবার বিকাল সাড়ে চারটায় নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাশেদুল ইসলাম চৌধুরীর নির্দেশক্রমে তার বাড়িতে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে যায় লাইনম্যান।কিন্তু তাদের সাথে তারা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে।এ ব্যাপারে পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাশেদুৃল ইসলাম চৌধুরী জানান,ইলিয়াস মাঝির কাছে তিন বছর পূর্বের একটি বিল বকেয়া রয়েছে।বিভিন্ন সময়ে সেই বিল পরিশোধের তাগিদ দেয়া হলেও বিভিন্ন সুপারিশের মাধ্যমে সে সময় নেয়।কিন্তু অদ্যবদী সেই বিল পরিশোধের কোন উদ্যেগ গ্রহন করেনি সে।এক্ষেত্রে তার বিদ্যূৎ লাইনটি বিচ্ছিন্ন করার অনুমতি দেয়া হয়।কিন্তু তারা আমাদের কর্মচারীদের সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে।
Leave a Reply