মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:২৯ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া দুর্যোগ সহনীয় ঘর টাকার বিনিময়ে বরাদ্দের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি উপজেলার ৭ নম্বর মালিঝিকান্দা ইউপির হাসলীগাঁও গ্রামে।
ওই গ্রামের সেকান্দর আলীর অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম তোতা ও ইউপি সদস্য নিজাম ঘর পেতে তার কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা নিয়েছেন।
সেকান্দরের দাবি, ঋণ ধার করে ওই টাকা তিনি চেয়ারম্যানকে দেন। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর। যে কারণে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে দেনাদারের চাপে এখন তিনি দিশেহারা।
অভিযোগ রয়েছে, সেকান্দর আলীর মতো আরো অনেকেই চেয়ারম্যানকে ঘুষ দিয়ে এখন বিপাকে পড়েছেন। অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ইউএনও।
ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম তোতা বলেন, আমি সেকান্দর আলীকে চিনি না। স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে সে ভোটার আইডি কার্ডের কপি ও ছবি জামা দেয়। পরে সরেজমিনে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলে তাকে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। আর ঘুষের টাকা লেনদেনের বিষয়টি গোপনে ইউপি সদস্যের সঙ্গে হয়ে থাকতে পারে তবে আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।
চেয়ারম্যানের দাবি, রাজনীতিতে তার বিরোধী পক্ষের লোকজনের ইন্ধনে কয়েকজন লোক তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য নিজাম বলেন, এসব মিথ্যা কথা। ঘর পেতে চেয়ারম্যানের কাছে সেকান্দর আলী আবেদন করেছে। পরে ঘর নির্মাণের আগে ইউএনও স্যার এলাকায় এসে তাকে জিজ্ঞেস করেছে ঘরের জন্য কাউকে টাকা দিয়েছেন কি না। তখন সে (সেকান্দর আলী) অস্বীকার করেছে।
উপজেলার গৌরীপুর ও সদর ইউপির একজন ভিক্ষুক এবং একজন প্রতিবন্ধী বলেন, দুর্যোগ সহনীয় ঘর তৈরি করে দেয়ার কথা বলে প্রায় প্রতিটি ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সদস্যরা উপকার প্রত্যাশীদের কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে ২৫ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। আর এ কথা সবাইকে না বলতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, ঘর নির্মাণে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন এ ধরনের অভিযোগ আমি শুনেছি।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার সময় ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে দরিদ্রদের তালিকা নেয়া হয়। প্রতি ইউপিতে ১০ জন হতদরিদ্রের ঘর পাওয়ার কথা থাকলেও আমরা চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে ২০ জনের তালিকা চেয়েছি। পরে যাচাই বাছাই করতে ইউএনও সাহেবকে সঙ্গে নিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে ১০ জন প্রকৃত দরিদ্রকে বাছাই করা হয়েছে। তারপরও যদি চেয়ারম্যানেরা ওইসব দরিদ্র মানুষদের চাপ প্রয়োগ করে টাকা নিয়ে থাকে তাহলে কী করার থাকে।
Leave a Reply