রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৬ অপরাহ্ন
তালতলী প্রতিনিধি॥ বরগুনার তালতলীতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল এলজিইডি আওতায় একটি বস্ক কালভার্ট ও সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের ইট ও নরম কাঁদা মাটির উপর ঢালাইয়ের কাজ, খালের নোনা পানি দিয়ে সিমেন্ট ও বালির মিশ্রণ করে ঢালাইসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার করইবারীয়া ইউনিয়নের ঝারাখালী গ্রামে ফকির বাড়ী সংলগ্ন রাস্তা ও কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। এলাকাবাসী জানান , রাস্তা নির্মাণ কাজে নিন্মমানের খোয়া ও মাটির উপরে পিচ ঢালাই দিয়ে রাস্তার কাজ করা হয়েছে। আর কালভার্টের জন্য আট ফুটের বেশি আছে নরম মাটি কিন্তু ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ারের যোগসূত্রে ৩ ফুট বাশের বললি ও পাঁচ ফুট কাঠের বললি মাটিতে পুঁতে তার উপরে ঢালাইয়ের কাজ করছে। কিন্তু শক্ত মাটির স্তর পৌঁছাতে প্রায় ৮ ফুট মাটি খনন করতে হবে। এছাড়া নিন্মমানের ইট দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে কালভার্ট। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার আহম্মদ আলী বারবার এসে দেখে গেলও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
ঝারাখালী গ্রামের জামাল মোল্লা, ওমর ফারুক, মজিবুর রহমান, জসিম মোল্লা, আবুল কাসেম গাজীসহ কয়েকজন স্থানীয়রা জানান, আগে এখানে একটি আয়রন ব্রিজ ছিল ওই ব্রিজটিও নির্মাণের সময় নিন্মমানের সামগ্রী ও নরম মাটির উপরে ঢালাই দিয়ে ব্রিজ নির্মাণ করছে। যার কারণে এর আগেও ব্রিজ নির্মাণের দুই বছর পরে ভেঙে যায় এবং রাস্তা নির্মাণের নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করছে, এতে রাস্তা বেশিদিন টেকসই হবে না। এই রকমের কালভার্ট ও সড়ক আমরা চাই না, এই কালভার্ট আমাদের কোনো কাজে আসবে না।
এ বিষয়ে ঠিকাদার বাদশা বলেন, আপনারা ইঞ্জিনিয়ার আহম্মদ আলীর কাছ থেকে জেনে নেন।
এ বিষয়ে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আহম্মদ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বলেন, ‘ওই কাজ আমি এখনই বন্ধ করে দিচ্ছি। ওখানে কোন কাজ হবে না, কাজটি আমি দিয়েছিলাম, এখন আমি বন্ধ করে দিচ্ছি।
কিন্তু ওই কাজের তথ্য চাইলে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার আপনারা অফিসে আসেন, এখন আমার সহকারী সঞ্জীব নেই তার কাছে ওই কাজের তথ্য আছে।
গত ১১ মার্চ ওই অফিসে গেলে আহম্মদ আলীর অফিস কক্ষ তালাবদ্ধ দেখা যায়।
এ সময় প্রকৌশলী আহম্মদ আলীর পিয়ন শাকিল আহমেদ সাংবাদিকদের দেখেই অহেতুক তর্ক বিতর্ক শুরু করেন। এক পর্যায়ে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে আহমদ আলীর নির্দেশে একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে সাংবাদিকদের মারধর ও ক্যামেরা মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ওই ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এস কে আরিফুল ইসলাম তিনি বলেন, আমি বিষয়টা জানতাম না। এখন আপনাদের কাছ থেকে শুনছি, এ বিষয়ে আমি খোঁজখবর নেব।
Leave a Reply