রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৬ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:রাজশাহী জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রাধীন পুঠিয়া উপজেলার ঝলমলিয়া ডাকবাংলো প্রায় দুই যুগ থেকে পরিত্যক্ত। কর্তৃপক্ষের নজরদারী ও রক্ষণা-বেক্ষণের অভাবে বাংলোটি এখন চলে গেছে স্থানীয় কিচু বখাটের দখলে। তাদের নেতৃত্বে রাত হলেই সেখানে চলে মাদক সেবন, জুয়ার আসরসহ দেহ ব্যববসা।এলাকাবাসীদের অভিযোগ এ সকল অপকর্মের বিষয়ে পুলিশ-প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অবহিত করেও কোনো সুফল আসছে না। জানাগেছে, উপজেলার ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে ব্রিটিশ আমলে এক একর ২২ শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠত হয় ঝলমলিয়া ডাক বাংলো। স্বাধীনতার পর বাংলোটি নামমাত্র দু’একবার সংস্কার করা হলেও প্রায় দু’যুগ থেকে কর্তৃপক্ষের আর কোনো নজরদারী নেই। অবহেলা ও অযত্নে বাংলোটি পরিত্যক্ত হয়ে গেছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন রক্ষণা-বেক্ষণ না করায় বাংলোর চারপাশে ঝোপঝাড় হয়ে গেছে। চার চালা টিনের একটি অতিথিশালার দরজা-জানালা তালাবদ্ধ। পাশে দুটি আবাসিক ভবনে উপরের চালা, দরজা জানালা নেই। শুধু চার পাশের দেয়াল দাঁড়িয়ে আছে। আবার কোনো কোনো দেয়ালের বেশীরভাগ ইট কে বা কাহারা খুলে নিয়ে গেছে। ভবনের চার পাশে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বোতল ও উপকরণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে।এলাকাবাসী ছবির উদ্দীন বলেন, স্বাধীনতার পর কয়েক বছর বাংলোটিতে লোকসমাগম ছিল। এরপর প্রায় ২৫/২৬ বছর থেকে নজরদারীর অভাবে ডাকবাংলোটি এখন ভুতুরে এলাকা পরিণত হয়ে গেছে। বর্তমানে সেখানে কিছু বখাটে লোকজন মাদক ব্যবসা, জুয়ার আসর ও বিভিন্ন অসামাজিক কাজে ব্যবহার করছে।তিনি বলেন, বাংলোর সাথে ঝলমলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রতিনিয়ত বখাটেদের উৎপাতের শিকার হয় স্কুলের শিশু কিশোরদের পাশাপাশি রাস্তার পথচারীরাও। বিষয়টি পুলিশ-প্রশাসনকে কয়েকবার অবহিত করা হলেও কোনো সুফল আসছে না।এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে জেলা পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল ফজল বলেন, পুঠিয়া রাজপরগনা এলাকায় বেড়াতে আসা দেশী-বিদেশী পর্যটকদের রাত্রী যাপনের মতো কোনো বাসস্থান এখানে নেই। তাই আমি নির্বাচিত হওয়ার পর পরিষদের প্রথম অধিবেশনে বাংলোটি সংস্কার বিষয়ে জানিয়েছি।তিনি বলেন, এ ছাড়া বিষয়টি বিভিন্ন দপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে অবহিত করা হয়েছে। সাবেক সাংসদ সদস্যকে কয়েকবার অবহিত করা হলেও তিনি কোনো কর্ণপাত করেননি। তবে বর্তমান সাংসদ কিছু দিনের মধ্যে আধুনিক মানের একটি ডাক বাংলো তৈরি করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওলিউজ্জামান বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। বিষয়টি আমি শুনেছি। এখনো বাংলো এলাকায় যাওয়া হয়নি। তবে অচিরেই জেলা পরিষদের মাধ্যমে বাংলোটি রক্ষণা-বেক্ষণ ও সংস্কার কাজ করা হবে।
Leave a Reply