রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫০ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুসকে টাকা না দেয়ায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাননি উপজেলার নোয়াগাঁও জালালনগর গ্রামের দরিদ্র ভূমিহীন জরিনা (৫৫)। সহায়-সম্বলহীন জরিনা চামটি নদীর তীরে সরকারি ভূমিতে বাঁশের তৈরি জরাজীর্ণ কুটিরে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিয়েছেন। কয়েক বছর আগে তার স্বামী আশকর আলী মারা গেছেন।
জরিনা বিবি অভিযোগ করে বলেন, ‘ঘর পাইতে অইলে চেয়ারম্যান পয়লা কয় ৫০ হাজার লাগবো, বাদে কয় ২০ হাজার, এরপর আমি কই টেহা পয়সা নাই পারতাম না, এরপর কয় ১০ হাজার অইলে অইবো’। একই ইউনিয়নের বাউসী গ্রামের তুফের হাটির বৃদ্ধ সিরাজুল ইসলাম। জায়গা-জমি কিছুই নেই তার, অসহায় অবস্থায় জরাজীর্ণ ঘরে দিন কাটছে।
জরিনার দিনমজুর ছেলে হুমায়ুন কবির বলেন, ‘চেয়ারম্যানকে টাকা না দেয়ায় ঘর পাননি তারা। একই হাটির অসহায় আবদুল মালেক, আলাল ও আবদুল আলী জানান, টাকা না দেয়ায় তালিকায় নাম থাকলেও ঘর পায়নি তারা।
তাড়ল ইউনিয়নের বাউসী মৌজায় দু’টি দাগে ৪৮ একর সরকারি খাস জমি রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৭০-৮০টি পরিবার খাসজমি দখল করে ২০-২৫ বছর যাবৎ ঘরবাড়ি করে বসবাস করছে। এর মধ্যে ৪৫টি পরিবারকে ভুমিহীন হিসেবে ঘর প্রদান করার কথা রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস ভূমিহীনদের প্রাধান্য না দিয়ে আর্থিক সুবিধা নিয়ে জমি আছে এমন লোকদের ভূমিহীন হিসেবে প্রত্যয়ন দিয়ে ঘর প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস বলেন, আমি কারো কাছ থেকে একটি টাকাও নেইনি, আমি প্রকৃত ভূমিহীন ছাড়া কাউকে প্রত্যয়ন দেইনি। ইউএনও যার ২২ কেয়ার জমি আছে এমন লোককে ঘর দিছেন, জরিনা সিএমবি (রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে) এর জায়গায় থাকে, তিনি ভূমিহীন নন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুর রহমান মামুন বলেন, চেয়ারম্যানের ভূমিহীন প্রত্যয়নের কারণে অনেক গড়মিল হয়েছে, জমি রয়েছে এমন অনেকের নাম তালিকায় আছে। এলাকায় গিয়ে জানিয়ে এসেছি, যাদের জমি আছে তাদের ঘর দেয়া হবে না। আবেদন পেলে পর্যায়ক্রমে যাচাই-বাছাই করে ভূমিহীন অসহায়দের ঘর দেয়া হবে।
Leave a Reply