মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৮ অপরাহ্ন
তানজিল জামান জয় ,কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। কলাপাড়ায় আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি পুত্র, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম লিটন, সমবায় অধিদপ্তরের অবসর প্রাপ্ত কর্মচারী লাল মোহাম্মদ সন্যামত এর ০.৬৬ একর জমি দখল করে মাছের ঘের তৈরি করেছে।
জমির মালিক বাধা দিলে এমপি পুত্রের ক্যাডার বাহিনীরা হকিষ্টিক, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে। এনিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি সহ খুন জখমের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এমন অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার সময় কলাপাড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে করেন ভূক্তভোগী জমির মালিকের ছেলে আ. হালিম সন্যামত। এসময় উপস্থিত ছিলেন জমির মালিক লাল মোহাম্মদ সন্যামত ও তার স্ত্রী মোসা. সালমা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আ. হালিম সন্যামত জানান, কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া মৌজায় ফুল গাজী ও আর্শে¦দ গাজীর কাজ থেকে তার বাবা লাল মোহাম্মদ সন্যামত ১৯৮৯ সালে ১ দশমিক ৬৫ একর জমি ক্রয় করে। দীর্ঘ ৩৩ বছর যাবত ভোগ দখল করে আসছে।
নয় বছর পর উক্ত জমি থেকে ১৯৯৮ সালে ওভার সেল দলিলের মাধ্যমে ০.৬৬ একর জমি ক্রয় করে বি এস র্পচা করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম লিটন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি লালুয়া ইউনিয়নেরর চারিপাড়া গ্রামে আবদুল্লাহ আল ইসলাম লিটন ক্যাডার বাহিনী নিয়ে উক্ত জমিতে ৫ ফুট, লম্বায় ২ হাজার ৫৮ফুট ভ্যাকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে মাছের ঘের তৈরি করেছে।
এ সময় লাল মোহাম্মদ সন্যামত বাধা দিলে হকিষ্টিক, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে লাল মোহাম্মদ সন্যামত, স্ত্রী মোসা.সালমা বেগম ও ছেলে মো. মামুন সন্যামত গুরুতর আহত হয়। এ সময় ক্যাডার বাহিনী জমি ভোগ দখল করতে হলে টাকা চাঁদা দাবি করে।
এ ব্যাপারে লাল মোহাম্মদ সন্যামত বাদি হয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি কলাপাড়া উপজেলা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। এ মামলা দায়ের পর থেকে বাদী পক্ষকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি সহ খুন জখমের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। বর্তমানে মামলার বাদী ও স্বাক্ষীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
এ ব্যাপারে আবদুল্লাহ আল ইসলাম লিটন এর সাথে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে একই সম্পত্তির মালিক আবদুল্লাহ আল ইসলাম লিটন এর বড় ভাই নেছার উদ্দিন আহম্মেদ খোকন অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, আমরা কাউকে পিটাইনি। কারো জমি দখল করে মাটি কাটিনি। আমরা আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে মাছের ঘের তৈরি করছি।
Leave a Reply