রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০২ অপরাহ্ন
তানজিল জামান জয় কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী হারুন অর রশিদ, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: বজলুল করিম সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি জাল জালিয়াতি করে আত্মসাত, আসবাব পত্র চুরি, উন্নয়ন কাজ না করে সরকারী বরাদ্দের টাকা অত্মসাৎ, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, বিদ্যালয় চত্বরে রোপনকৃত গাছ ভেঙ্গে-উপড়ে ক্ষতিসাধন সহ একাধিক ফৌজদারী অভিযোগে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিপ্তরের কর্মকতাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক শোভন শাহরিয়ার এ আদেশ প্রদান করেন।
কলাপাড়া চৌকি আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো: আনেয়ার হোসাইন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালতে জনস্বার্থে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সহ ফৌজদারী অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১০৫ নং বৌলতলি সৈয়দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী হারুন অর রশিদ ১৯৯০ সনে বে-আইনী ভাবে প্রধান শিক্ষক হিসেবে বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকে ফৌজদারী অপরাধে যুক্ত হন। দুদক আইনের (জিআর-৫৮/১৫) মামলায় আসামী হয়ে আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েও তিনি বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। সাব রেজিষ্ট্রী অফিসের সিল ব্যবহার করে সাব-রেজিষ্ট্রারের স্বাক্ষর জাল করে অবিকল নকল সহিমোহর সৃষ্টি করে খাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে বিদ্যালয়ের জমি দখল করেন। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে অধিদপ্তরে মাসিক রিটার্ন দাখিল করেন।
বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকান্ডে সরকারী এবং দাতা সংস্থার বরাদ্দ আত্মসাৎ করেন। এছাড়া মামলায় শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, বিদ্যালয় চত্বরে রোপনকৃত গাছ ভেঙ্গে-উপড়ে ক্ষতিসাধন, পুকুরের মাছ বিক্রি সহ একাধিক ফৌজদারী অভিযোগ করা হয় তার বিরুদ্ধে। এর আগে ১৮ নভেম্বর ফৌজদারী অপরাধ সংক্রান্ত প্রমানের বিলোপ সাধন, প্রতারনা, আত্মসাত ও হুমকীর অভিযোগে প্রধান শিক্ষক গাজী হারুন অর রশিদ’র বিরুদ্ধে নয়াকাটা গ্রামের মো: কামাল হোসেন’র দায়েরকৃত মামলা আমলে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন একই আদালত।
অপরদিকে উপজেলার ৬৪ নম্বর আজিমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এইচ এম ইউনুচ আলী’র বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের সরকারী বরাদ্দের ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আজিমপুর গ্রামের জনৈক মো: কামাল হোসেন বাদী হয়ে অপর একটি মামলা করেন বৃহস্পতিবার একই আদালতে। বিজ্ঞ বিচারক মামলার অভিযোগের বিষয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।
অভিযোগের এ বিষয়ে প্রাথমিকের সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এইচ এম ইউনুচ আলী ও গাজী হারুন অর রশিদ’র দাবি তাঁরা নির্দোষ। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের দ্বন্দ্বের জেরে তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করা হয়েছে।
Leave a Reply