বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন
তানজিল জামান জয়, কলাপাড়া প্রতিনিধি: কলাপাড়ার পশ্চিম চাপলী গ্রামে স্বামী সিদ্দিককে মারধর করে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষনের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি শাহআলম মাঝিসহ শাহীন, শাকিল ও রশিদকে বিজ্ঞ আদালত জেল হাজতে পাঠিয়েছে। আসামিরা উচ্চ আদালতের আগাম জামিনের সময় শেষ হওয়ার পর পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে রবিবার জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ১৫ এপ্রিল রাতে ওই গৃহবধুকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। ইতোপুর্বে মহিপুর পুলিশ এ মামলায় দুই আসামি রবিউল ও মামুনকে গ্রেফতার করে।
এদিকে ১৫ এপ্রিল রাতে স্ত্রীকে নিয়ে খালা হাসিনা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যায় সিদ্দিক হাওলাদার। খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘরে বসে কথা বলছিলেন তারা। এসময় আসামিরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঢুকে সিদ্দিক হাওলাদারকে মারধর করে বেঁধে প্রথম দফায় এবং দ্বিতীয় দফায় পাশর্^বর্তী মাছের ঘেরে নিয়ে গৃহবধুকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে অসুস্থ্য অবস্থায় পাশের এলাকার মেম্বার আনোয়ার ফকিরের বাড়িতে রেখে যায়। এ ঘটনায় মহিপুর থানা পুলিশ মামলা না নেয়ায় পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করে গৃহবধূর স্বামী। এরপর প্রভাবশালী আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে মামলা প্রত্যাহারে স্থানীয়দের নিয়ে চাপলি বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে।
এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের মৌলভীতবক গ্রামে সন্ধ্যা রাতে ঘর থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষন করা হয় এক নববধূকে। এর ক’দিন পর টিয়াখালী ইউনিয়নের এক স্কুল ছাত্রীকে স্কুল ফেরার পথে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে কুয়াকাটার আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে ধর্ষন করা হয়। এসব ঘটনায় প্রভাবশালী আসামীদের পক্ষে তদ্বির হচ্ছে অহরহ। এমনকি এসব ঘটনার আলামত নষ্ট করতে মোটা অংকের মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে তারা।
যদিও এর আগে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন রাঙ্গাবালীর একটি ধর্ষন-হত্যা মামলার আলামত নষ্ট করার জন্য মহামান্য হাইকোর্ট তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তারপরও কি প্রভাবশালীদের তদ্বিরে এসব চাঞ্চল্যকর ধর্ষন মামলার আলামত নষ্ট হয়ে যাবে? পার পেয়ে যাবে কি প্রভাবশালী ধর্ষকরা??
Leave a Reply