রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২১ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ সরবরাহ না থাকায় করোনা টিকা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কার্যক্রম বৃহস্পতিবার সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বরিশাল জেনারেল (সদর) হাসপাতালে দ্বিতীয় ডোজের টিকাকরণ বন্ধ রাখা হয়েছে। এর জেরে টিকা নিতে হাসপাতালে এসে ফিরে যেতে হয় অনেকে। টিকা দেওয়া বন্ধ শুনে এ দিন উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সদর হাসপাতালে।
এ দিন যাঁদের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কথা ছিল, তাঁদের একাংশ সকালেই হাসপাতালে লাইন দেন। তবে বেলা বাড়লেও টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়নি। পরে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, দ্বিতীয় ডোজের টিকা সরবরাহ না থাকায় টিকাকরণ বন্ধ রাখা হয়েছে।
প্রথম ডোজ নেওয়ার নির্দিষ্ট সময়সীমা অনুযায়ী ২০ মে দ্বিতীয় ডোজের জন্য হাসপাতালে আসতে বলা হয়। তারা আসলেও টিকা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এমন তথ্যের পর ক্ষোভ ছড়ায় লাইনে দাঁড়ানো মানুষদের মধ্যে। তাঁদের দাবি, টিকা যে দেওয়া হবে না, তা সকাল থেকে জানিয়ে দেওয়া হলে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে হতো না।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, টিকা সরবরাহ করা হবে, এমন আশ্বাসে তারা টিকাকরণ চালিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত টিকা না আসায় তারা টিকা কর্মসূচী সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন।
বরিশাল সদর হাসপাতালের আবাসিক মডিক্যাল অফিসার মলয় কৃষ্ণ বড়াল বলেন, বৃহস্পতিবার টিকাকরণ বন্ধ ছিল। প্রথম ডোজ নেওয়ার পরে কারো কারো নির্ধারিত সময় শেষ হয়েছে। কিন্তু সরবরাহ না থাকায় টিকা না দেওয়ার কথা আগে থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাই বৃহস্পতিবার অবশ্য খুব বেশি মানুষ হাসপাতালে আসেননি। কয়েকজন এসে ফিরে যান।
টিকা দেওয়া হবে না জেনে বাড়ি ফেরার পথে এক বৃদ্ধ বলেন, সংক্রমণের মধ্যে বিপদের ঝুঁকি নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলাম। কবে দ্বিতীয় ডোজ পাব জানি না। কখন যে কী নিয়ম হচ্ছে বোঝা মুশকিল।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও এ দিন টিকা প্রদান বন্ধ ছিল। কয়েক দিন ধরে এখানে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মজুদ না থাকায় প্রথম ডোজ নেওয়ার পর সময়সীমা শেষ হলেও সরবরাহ না থাকায় দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে না। সে কারণে বৃহস্পতিবার টিকা দেওয়া হয়নি। তাছাড়া টিকার মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ায় টিকাকরণ বন্ধ রাখা হয়েছে। টিকার সরবরাহ আসলেই আবার টিকাকরণ শুরু হবে। তবে কবে নাগাদ শুরু হবে তা কর্তৃপক্ষ বলতে পারেননি।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বরিশাল জেলায় তিন দফায় টিকার দুই লাখ ৮৯ হাজার ৯০০ ডোজ আসে। প্রথম দফায় এক লাখ ৬৮ হাজার টিকা এসেছিল, যা থেকে ৯০ হাজার ফেরত দেওয়া হয়েছিল। সে হিসেবে এ পর্যন্ত জেলায় টিকা দেয়া হয়েছে এক লাখ ৩৯ হাজার ৯০০ জনকে। এখন বরিশালের তিনটি টিকা কেন্দ্রের সবগুলোই বন্ধ। সব কেন্দ্র থেকেই বলা হচ্ছে, সরবরাহ এলে টিকা দেওয়া শুরু হবে।
Leave a Reply