বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪২ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ অনুমোদন ছাড়াই টাকার বিনিময়ে করোনার নমুনা সংগ্রহের পর টেস্ট না করেই ভুয়া রেজাল্ট দিয়ে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার ঘটনায় জেকে জেকেজি’র চেয়ারম্যান ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রেজিস্ট্রার চিকিৎসক ডা. সাবরিনা আরিফ খানকে পুলিশের তেজগাঁও ডিসি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
রোববার (১২ জুলাই) দুপুরে তাকে তেজগাঁও ডিসির কার্যালয়ে ডেকে নেয়া হয়। করোনার রিপোর্ট কেলেঙ্কারিতে এরইমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন ডা. সাবরিনার চতুর্থ স্বামী জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফ চৌধুরীসহ ৬ জন। তাদের এক ল্যাপটপেই পাওয়া গেছে ১৫ হাজারেরও বেশি করোনার ভুয়া টেস্ট রিপোর্ট।
করোনাকালের এই প্রতারণার ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে তেজগাঁও থানায়। এসব মামলার কোনোটিতে এখন পর্যন্ত ডা. সাবরিনার নাম যুক্ত করা হয়নি। কোন অদৃশ্য শক্তির ইশারায় এবং কাদের কারসাজিতে তিনি এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন, সেটা বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। তদন্ত কমকর্তার বলছেন, জেকেজির বিরুদ্ধে মামলাগুলো জনগুরুত্বপূর্ণ বিধায় দ্রুতই চার্জশিট দেওয়া হবে। বর্তমানে চারটি মামলারই শেষপর্যায়ের তদন্ত চলছে। প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে ডা, সাবরিনার সংশ্লিষ্ট পাওয়া গেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
করোনা মহামারিতে ভাইরাস শনাক্ত নিয়ে এই স্পর্শকাতর প্রতারণায় শুরু থেকেই জড়িত প্রতিষ্ঠানটিতে সম্পৃক্ত ছিলেন ডা. সাবরিনা। তার আবেদনেই জেকেজি হেলথকেয়ার করোনার নমুনা সংগ্রহের বুথ স্থাপনের কাজ পায়। তিনি নিজে জেকেজির কর্মীদের তিতুমীর কলেজে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। অথচ তারই প্রতিষ্ঠান করোনা টেস্টের নামে দিনের পর দিন মানুষকে ঠকিয়ে আসছিল তার প্রতিষ্ঠান।
বর্তমানে ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রেজিস্ট্রার চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন । সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেও তিনি ছিলেন জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান। এই পরিচয়ে তিনি স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন এবং কথা বলতেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। এটি সরকারি চাকরি বিধিমালার সুষ্পষ্ট লংঘন।
কিভাবে, কার মাধ্যমে তিনি এ কাজ হাতিয়েছেন, সে ব্যাপারে চলছে অনুসন্ধান। তদন্তে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে সাবরিনাকে গ্রেফতার করা হবে। প্রতারণার দায়ে স্বামী আরিফ চৌধুরী গ্রেফতার হওয়ার পর জেকেজির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার দাবি করেছেন, তিনি এক মাস আগেই পদ ছেড়ে দিয়েছেন। আবার বলছেন যে তিনি কখনওই চেয়ারম্যান ছিলেন না, সবাই নাকি মুখে মুখে ডাকতো।
জেকেজির এই প্রতারক চক্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সব প্রভাব প্রতিপত্তির উৎস ছিলেন ডা, সাবরিনা চৌধুরী বলে অভিযোগ আছে।
Leave a Reply