মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৩ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ লক্ষ্মীপুরে চার বছরের এক শিশুকে নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে মা পালিয়ে গেছেন। এনিয়ে দু’বার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন তিনি। প্রথমে একা পালালেও এবার সঙ্গে করে একমাত্র মেয়েটিকেও তিনি নিয়ে গেছেন। তবে কন্যা শিশুকে ফিরে পেতে বাবা রাসেল মাহমুদ রোমান মরিয়া হয়ে উঠেছেন। প্রায় দেড় মাস হয়ে গেলেও একমাত্র মেয়েটিকে দেখতে না পেয়ে দিশেহারা হয়ে কান্না করছেন। আদালত ও পুলিশ প্রশাসনসহ আশপাশের মানুষের কাছে মেয়েকে ফিরে পাওয়ার আকুতি জানাচ্ছেন তিনি।
জানা গেছে, গত ১৪ জুন শিশু কন্যাকে নিয়ে তার মা জান্নাতুল ফেরদাউস প্রেমিক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো পালিয়ে যান। এ ঘটনায় রোমান সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। দেড় মাস অতিক্রম হলেও মেয়েকে না পেয়ে রবিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) আদালতে জান্নাতুল ফেরদাউস, প্রেমিক সাইফুল ও সহযোগী কাওছার আহম্মেদকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। তারা সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের হেতিমপুর গ্রামের বাসিন্দা।
বাদীর আইনজীবী লুৎফুর রহমান গাজী বলেন, মামলাটি আদালতের বিচারক রায়হান চৌধুরী আমলে নিয়েছেন। এটি তদন্ত করার জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এজাহার সূত্র জানা যায়, ব্যবসায়ী রোমান ও জান্নাতুল ফেরদাউসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ৫ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। একবছর পরই তাদের সংসারে নতুন অতিথি হিসেবে এক কন্যা শিশুর জন্ম হয়। ব্যবসার কাজে রোমান রাজধানীতেই থাকতেন। এ সুযোগে জান্নাতুল ফেরদাউস স্বামীর বন্ধু সাইফুল ইসলামের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন। স্থানীয়দের কাছে সাইফুল ও জান্নাতুল ফেরদাউস হাতেনাতে আটক হন। গত ৪ এপ্রিল শিশু মেয়েটিকে রেখে জান্নাতুল প্রেমিক সাইফুলের সঙ্গে পালিয়ে যান। এসময় তাদের বিয়েও হয়। পরে সালিসি বৈঠকের মাধ্যমে রাফার কথা চিন্তা করে জান্নাতুল ফেরদাউসকে ফের ঘরে তোলেন রোমান। দুই মাসের মাথায় গত ১৪ জুন ফের ওই নারী প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যান। এবার শিশুটিকেও সঙ্গে নিয়ে গেছেন।
মামলার বাদী রাসেল মাহমুদ বলেন, ‘সাইফুল আমার ছোটবেলার বন্ধু। সম্পর্কেও চাচা-ভাতিজা। সাইফুলের সঙ্গে আমার স্ত্রীকে পালিয়ে যেতে কাওছার সহযোগিতা করেছে। তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় আমার মেয়েটিকে নিয়ে গেছে। দেড় মাস হয়ে গেছে আমি মেয়েটির খোঁজ পাচ্ছি না। কিভাবে আছে, কেমন আছে? আমার মেয়েটিকে তারা কি করেছে? তা-ও জানতে পারছি না। মেয়েকে অক্ষত অবস্থায় আমার কোলে ফিরিয়ে দিতে প্রশাসনসহ সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।’
Leave a Reply