সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৮ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ উন্নয়নের জোয়ারেই নৌকা ভেসে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে জনগণের বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যাকে জনগণই ক্ষমতায় নিয়ে আসবে।’
শনিবার সকালে দিনাজপুর জেলার বিআইব্লিউটিএর অফিস ভবন, তুলাই নদীতে রাবার ড্যাম, পুনর্ভবা নদীর তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উদ্বোধনকালে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জেলার বিরল উপজেলার খোসালডাংগী হাট এলাকায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ পথ চলা অত্যন্ত কঠিন। যারা দেশকে ভালোবাসে, যারা দেশের জন্য কাজ করে, তাদের সামনে অনেক বাধা। তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি নিতে হয়। বঙ্গবন্ধু এ ঝুঁকি নিয়েছিলেন। বাংলার মানুষের প্রতি তার বিশ্বাস ছিল। তার দূরদর্শিতা ও সাহসিকতার কারণে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। তাকে হত্যা করতে পারত, মৃত্যুদণ্ড দিতে পারতো, তিনি কিন্তু ভয় করেননি। তিনি সাহস নিয়ে কাজ করেছেন। তাকে হত্যা করা হয়েছে সর্বশেষ। ভারতের ইন্দিরা গান্ধী, শ্রীলংকার বন্ধরনায়েক, ইন্দোনেশিয়ার সুকর্ণকে হত্যা করা হয়েছে কারণটা কী? তারা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করেননি।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দিনাজপুরের বিরলের ধর্মপুর, কামদেবপুর থেকে ঢেপা ও পুনর্ভবা নদীর তীরে ২৬ কিলোমিটার বাঁধ তা ঠাকুরগাঁও পর্যন্ত চলে গেছে সেটিতে রিভারওয়ে তৈরি করা হবে। ২৬ কিলোমিটার বাঁধের উপর রাস্তা তৈরির জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। এ নদীর পাড় শুধু দিনাজপুর নয়; বাংলাদেশের সবচেয়ে সৌন্দর্যমন্ডিত নদীর পাড় হবে। কারণ এ নদীর পাড়ে ভারতবর্ষের পৃথিবীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রাচীনতম ‘কান্তজি মন্দির’ আছে। যে মন্দির দেখার জন্য সমগ্র পৃথিবী থেকে মানুষ আসে। ইতিহাসের অমরস্বাক্ষী ‘রাজবাড়ী’ আছে। পুনর্ভবা ও ঢেপা নদীর দু’পাড় সুন্দর করে সাজাবো। কান্তজির সেই আগমন যেন দু’পাড়ের মানুষ উপভোগ করতে পারে। সমগ্র পৃথিবীর ইতিহাসবিদ ও দর্শনার্থী তারা স্মরণ করবে-বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাসের সম্মান করতে পারে। বাংলাদেশের মানুষ, দিনাজপুরের মানুষ তাদের প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে, আমরা সেভাবে সাজাতে চাচ্ছি। জেলা প্রশাসককে সেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইভাবে দিনাজপুরের রামসাগর, সুখ সাগর, আনন্দ সাগরসহ যে প্রাচীনতম পুকুরগুলো আছে সে পুকুরগুলো অপরূপ সাজে সজ্জিত করা হবে যেন দিনাজপুর একটি সুন্দর দর্শনীয় জেলায় পরিণত হয়। দিনাজপুরের লিচু পৃথিবীর বিখ্যাত। চাঁদপুরে ‘ইলিশের বাড়ি’ করা হয়েছে; দিনাজপুরে ‘লিচু বাড়ি’ করা যায় কিনা সেই পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি কাজ করছেন। আগামী দিনে দিনাজপুরের ‘লিচু বাড়ি দেখার জন্য সারাদেশের মানুষ আসবে।’
এসময় বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিআইডব্লিটিএর সদস্য (প্রকৌশল) ড. একেএম আজাদুর রহমান, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ এবং প্রকল্প পরিচালক মো. সাইদুর রহমান প্রমুখ।
Leave a Reply