বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৪ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ চুরি ও অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে করা মামলায় মঙ্গলবার (১৮ মে) থেকে কারাগারে বন্দি রয়েছেন দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার (২০ মে) সকালে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লার ভার্চুয়াল আদালতে তার জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এদিন তিনি জামিন পাবেন বলে আশা করছেন তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার।
রোজিনার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার বলেন, ‘আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সঠিক তথ্য প্রকাশে বাধা নেই। তথ্য প্রকাশ সুরক্ষা আইন-২০১১-এর ৪ ধারায় জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সঠিক তথ্য যে কেউ প্রকাশ করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি নিয়ে ইতোপূর্বে যে প্রতিবেদন করেছেন তা জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট। রোজিনা ইসলাম একজন পেশাদার নারী সাংবাদিক। তার বিরুদ্ধে যে ধারায় মামলা করা হয়েছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। রোজিনা ইসলামের একটি শিশু সন্তান রয়েছে, তা ছাড়া তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। সবদিক বিবেচনা করে আমরা আশা করছি, বৃহস্পতিবার রোজিনা ইসলাম আইনগতভাবে জামিন পাবেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৮ মে) রোজিনা ইসলামের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে তার জামিন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (২০ মে) দিন ধার্য করেন আদালত।
এদিন সকালে তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার। অপরদিকে তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকর্তার তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে তার জামিন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন আদালত।
এরপর রোজিনার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার তার চিকিৎসার জন্য আবেদন করেন। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী তার চিকিৎসার জন্য নির্দেশ দেন। এরপর প্রিজনভ্যানে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই রয়েছেন।
রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে সোমবার (১৭ মে) রাতে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ উসমানী।
সচিবালয়ে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখার পর সোমবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে শাহবাগ থানায় আনা হয়। তার বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া মোবাইল ফোনে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তোলা এবং আরও কিছু নথি লুকিয়ে রাখার অভিযোগ এনেছে মন্ত্রণালয়।
Leave a Reply