শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৬ অপরাহ্ন
তানজিল জামান জয়, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি॥ জীবন-জীবিকার জন্য ৪০টি বছর নিজের এই দোকানে বিভিন্ন ধরনের কাজ করেছেন। পুরনো লাইট, ঘড়ি, রেডিও মেরামত করতেন। এক কথায় মেকার ছিলেন। ওই পেশা মোবাইলের যুগে বন্ধ হয়ে যায়। এরপরে পত্রিকা বিক্রি শুরু করেন।
এখনও করছেন। ৪০ বছরের পুরনো দোকানঘরটির চালের টিন পাল্টাচ্ছিলেন। সব খুলেছেন। তখনও কেউ কিছু বলেনি।
যখন পাল্টে নতুন টিন লাগাতে থাকেন তখনই হামলা চালায়। এতে বাধা দেয়া হয়। এক পর্যায়ে অনেকজনে জোট বেধে আলাউদ্দিন মিয়ার নেতৃত্বে লাঞ্ছিত করা হয়। কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এখন রোদে-বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে দোকানের ভেতরের মালামালসহ আসবাবপত্র।
অসহায় বৃদ্ধ সংখ্যালঘু মাখন লাল বৈরাগী প্রতিকার চেয়ে এখন ঘুরছেন, প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে। ছয় জনের সংসারের উপার্জনের বৃদ্ধ মানুষটি এখন আর পারছেন না। মাখন লালের অভিযোগ পেছনের বাসীন্দাদের উদ্দেশ্য তারা তাঁকে উচ্ছেদ করে জায়গাটি দখল করে নেবে। এনিয়ে কতবার, কতভাবে মারধর, লাঞ্ছিতের শিকার হয়েছেন এ মানুষটি তার হিসেব নিজেও ঠিকঠাক কষতে পারছেন না।
কলাপাড়া উপজেলা শহর থেকে কুয়াকাটাগামী মহাসড়কের পাখিমারা বাজারের দোকানি মাখন লাল বৈরাগীর এখন দৌড়াদৌড়ি চলছে দোকানঘরটির চাল যেন ঠিক করতে পারেন। কলাপাড়া প্রেসক্লাবে দেয়া এক লিখিত অভিযোগে মাখন লাল বৈরাগী আরও উল্লেখ করেছেন, মহাসড়কের পাশে ৬০৬৯ নম্বর দাগের খাস জমিতে তারসহ অনেকের দোকানঘর রয়েছে।
মাখন লাল বৈরাগী জানান, তাকে ওই জায়গা থেকে উচ্ছেদ করার জন্য ২০০১ সাল থেকে আলাউদ্দিন মিয়াসহ তার বাবা নানা কায়দায় ষড়যন্ত্র হামলা মামলার শিকার ।
২০০৯ সালে এক রাতের আধারে দোকানঘরটি ভেঙ্গে দিয়েছিল। তৎকালীন পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে উদ্ধার হয় ঘরটি। গ্রেফতার করা হয় কয়েকজনকে। সবশেষ ২৭ জুলাই ঘরটির চালের টিন বদলের জন্য পুরনো টিন খুলে ফেলেন।
নতুন টিন লাগানো শুরু করলেই সব কাজ বন্ধ করে দেয় আলাউদ্দিন মিয়া গং। বর্তমানে ওই দোকানঘরের সামনে গেলে মাখন লালকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল, খুন-জখমের হুমকি দেয়া হয়। আর বৃষ্টিতে ভিজে আর রোদে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে জীবিকার অবলম্বন দোকানঘরটি।
পত্রিকা বিক্রির কাজও বন্ধের উপক্রম হয়েছে। মানুষটি চরম অসহায়ত্ব প্রকাশ করে প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছেন। ওই এলাকার ইউপি মেম্বার জগৎ জীবন জানান, অসহায় মাখনলালের দোকানটি দখলের জন্য তাকে ভিটি থেকে উচ্ছেদে এসব করা হচ্ছে।
Leave a Reply