বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমনের বিরুদ্ধে সোয়া ৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন পিছিয়েছে। এ মামলায় প্রতিবেদন দাখিলে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (২৬ আগস্ট) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল থাকলেও এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা দুদক প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ প্রতিবেদন দাখিলে নতুন এ দিন ধার্য করেন।
গত ৪ আগস্ট দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলায় পাপিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ২২ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়েস্টিন হোটেলের ২৫টি রুমে অবস্থান করে রুম-নাইট, রেস্টুরেন্ট (খাবার), রেস্টুরেন্ট (মদ), স্পা, লন্ড্রি, মিনি বার ফুড, মিনি বার বাবদ মোট তিন কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল ক্যাশে পরিশোধ করেন পাপিয়া। ওই সময়ে ওয়েস্টিন হোটেলে থাকা অবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার শপিং করেন। যার কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেনি তিনি।
এছাড়া ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালে এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বাসা ভাড়াবাবদ ৩০ লাখ টাকা, গাড়ির ব্যবসায় বিনিয়োগকরা এক কোটি টাকা এবং নরসিংদীতে কেএমসি কার ওয়াশ সলিউশানে বিনিয়োগকরা ২০ লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকে তার ও তার স্বামীর নামে জমাকরা ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকারও কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি দুদকের অনুসন্ধানে।
অন্যদিকে র্যাবের অভিযানে তার বাসা থেকে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং সুমনের নামে হোন্ডা সিভিএ ২০১২ মডেলের ২২ লাখ টাকার গাড়ি উদ্ধার করা হয়। এগুলোরও কোনো বৈধ উৎস মেলেনি দুদকের অনুসন্ধানে।
এভাবে মোট ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায়, যা আয়ের উৎসের স্বপক্ষে কোনো ধরনের দালিলিক প্রমাণ না পাওয়ায় পাপিয়া এবং তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
Leave a Reply