রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই রিফাত শরীফের (২৫) মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে এমনটি জানিয়েছেন বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জামিল হোসেন।তিনি বলেন, নিহত রিফাত শরীফের গলায়, মাথায়, বুকে ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, যা ধারালো অস্ত্রের বলে প্রাথমিকভাবে বোঝা গেছে।
আঘাতগুলোর মধ্যে গলায়, মাথায় ও বুকে তিনটি গুরুতর জখম রয়েছে, বাকি ৩-৪টি আঘাতের চিহ্ন ততটা গুরুতর নয়। বিশেষ করে গলার আঘাতের কারণে গুরুত্বপূর্ণ রগ কেটে যায়। ফলে এতটাই রক্তক্ষরণ হয়েছে, যা সময়ের ব্যবধানে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।এদিকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের আওতাধীন মর্গসূত্রে জানা গেছে, ৬টি আঘাতের (ধারালো অস্ত্রের) চিহ্ন শনাক্ত করা হয়েছে রিফাতের শরীরে, যার মধ্যে ৩টি গুরুতর।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডে নিহতের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কমিটি গঠন করে। শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জামিল হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করা হয়। কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন- ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. মাইদুল হোসেন ও ডা. সোহেলী আক্তার তন্নী।
এর আগে শেবাচিম হাসপাতালের লাশ রাখা কক্ষ থেকে সকাল ১০টার দিকে নিহত রিফাত শরীফের মরদেহ মর্গে নিয়ে আসা হয়। সেখানে বেলা ১১টা ১০ মিনিট থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত চলে ময়নাতদন্তের কার্যক্রম। ময়নাতদন্ত শেষে নিহত রিফাতের মরদেহ নিয়ে বেলা ১টার দিয়ে স্বজনরা সড়কপথে বরগুনার উদ্দেশে যাত্রা করেন।এদিকে বুধবার রিফাতের মৃত্যুর পর পরই বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই সাইদুল ইসলাম মরদেহের সুরতহাল করেন। যে প্রতিবেদনে নিহতের মাথার ওপর কোপের জখম, গলার ডান পাশে লম্বা কোপের জখম (সেলাই করা), বুকের ডান পাশে কাঁধসংলগ্ন কোপের জখম (সেলাই করা), বাম হাতের কনুইয়ের নিচে কোপের জখম এবং বৃদ্ধাঙ্গুলে কোপের জখমের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
Leave a Reply