বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ মাঠ প্রর্যায়ে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যলয়, জেলা প্রশাসনের কার্যলয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যলয় সহ সহকারী কমিশনার (ভূমি ) এর কার্যলয়ের কর্মরত কর্মচারীদের (গ্রেড ১৩ থেকে ১৬) পদবী পরিবর্তন ও গ্রেড উন্নীতকরণের দাবীর আন্দোলনের দ্বীতিয় দিয়ে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের দপ্তর অচল হয়ে পড়ে রয়েছে।
দাবী আদায়ের জন্য জেলা প্রশাসক দপ্তরের নিচতলায় চলছে দাবী আদায়ের আন্দোলন সভা-সমাবেশ অপরদিকে জেলা প্রশাসক দপ্তরের সাধারন শাখা, এস এ শাখা সহ মফেজখানা (রেকর্ড) রুমের কক্ষগুলোর চেয়ার টেবিল ফাইল-পত্র যেখানে-সেখানে পড়ে রয়েছে নেই শুধু আন্দোলনরত কর্মচারীরা।
জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে জেলা প্রশাসক দপ্তরের কাজে এসে কর্মচারীদের দিনব্যাপি কর্মবিরতীর আন্দোলনের কারনের দূর্ভোগে পড়ে পুনরায় নিরাস হয়ে ফিরে যাচ্ছেন অফিসের কাগজ-পত্র ও রেকর্ড রুমে কাজে আসা সেবা প্রত্যাশী সাধারন মানুষ।
অপরদিকে দেখা জেলা প্রশাসক এস.এম অজিয়র রহমান তার সম্মেলন কক্ষে জিও- এনজিওদের নিয়ে মাসিক সভা করছেন কিন্তু সেখানেও কর্মচারীরা রয়েছে অনুপস্থিত। এছাড়া সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কর্মচারী ছাড়াই নিজ নিজ দাপ্তরিক কাজ করতে তাদের দেখা গেছে।
আন্দোলনের দ্বীতিয় দিনে কালেক্টরেট সহকারী সমিতি বরিশাল জেলা শাখার সদস্যরা আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে কর্মবিরতী পালন শুরু করেন তারা। সভাপতি মাহফুজুর রহমান খান সুজনের সভাপতিত্বে দাবী আদায়ের কর্মবিরতী সভায় বক্তব্য রাখেন সাধারন সম্পাদক আঃ বারেক মোল্লা,নাসির সরদার,আনিছুর রহমান,মনির হোসেন আকন,আয়সা সিদ্দিকা,হারুন উর রসিদ,রিয়াজুল ইসলাম,আদম আলি, হৃদয় রতন ও মিঠু রানি দাস প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন এভাবে ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে আন্দোলন করলে চলবে আগামী কাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে যদি কর্মচারীদের দাবীর সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কোন সুরাহা না করা হয় তাহলে নতুন করে কঠোর কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে।
এব্যাপারে জেলা সভাপতি মাহফুজুর রহমান খান সুজন বলেন, আমাদের এবারের কর্ম বিরতীর পূর্বে কয়েকবার আন্দোলন করেছি কিন্তু আমাদের ব্যাপারে সরকার এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত দিচ্ছে না।
তাই আমরা নতুন করে কর্ম বিরতী আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি। আমাদের দাবী পুরণ করা নাহলে আমরা অফিসের সকল ধরনের কাজ করা থেকে বিরত থাকব। অপরদিকে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার কার্যলয়,ক্ষরিশাল জেলা বিভিন্ন উপজেলা প্রর্যায়ে থানা নির্বাহী অফিসার কার্যলয়গুলোতে কর্মচারীরা কর্ম বিরতী পালন করায় সেখানের দপ্তর গুলো অচল হয়ে রয়েছে।
Leave a Reply