শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক :
দলীয় চেয়ারপারসন কারাবন্দী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এই কর্মসূচিতে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরাসহ ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর কয়েকজন শীর্ষ নেতাও উপস্থিত ছিল। ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই অনশন হয়।
দুই ঘণ্টার অনশনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তাকে ছাড়া বাংলাদেশে কোনও নির্বাচন হবে না। আমরা বলবো ৫ জানুয়ারি মার্কা আর কোনও নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মিথ্যা মামলায় বেগম জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দি করেছে। তাকে চিকিৎসা পর্যন্ত দিচ্ছে না। জামিনের পরও তার মুক্তি দিচ্ছে না। অবিলম্বে তার মুক্তি দিয়ে বিশেষায়িত হাসপাতালে সুচিকিৎসার দাবি জানাই।
মোশাররফ বলেন, সব দল আজকে ঐক্যবদ্ধ। তারা সবাই গণতন্ত্রের মা বেগম জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চায়। তফসিলের আগেই সংসদ ভেঙে দিয়ে, সেনা মোতায়েন করে ইসি পুনর্গঠন করে এবং সরকারের পদত্যাগ করেই আগামী নির্বাচন হতে হবে।
কর্মসূচীতে ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, এই মুহূর্তে খালেদা জিয়ার মুক্তি অপরিহার্য। আজ গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি সামরিক বাহিনীর হাতে দিতে হবে।
মওদুদ আহমদ বলেন, সরকারের সময় শেষ আসছে। আপনারা অপেক্ষা করুন, এমন কর্মসূচি দেয়া হবে যে আন্দোলনে সরকারের নৌকা ভেসে যাবে। আজকে খালেদা জিয়ার মুক্তি রাজপথের আন্দোলনেই সম্ভব।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী ও আবদুস সালাম আজাদের পরিচালনায় অনশনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নেতা জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, আলতাব হোসেন চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, মোহাম্মদ শাহাজাহান, আতাউর রহমান ঢালী, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবদুস সালাম, আমান উল্লাহ আমানসহ আরও অনেকে।
Leave a Reply