সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল-৪ আসনে (মেহেন্দীগঞ্জ-হিজলা) আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহম্মেদ এবং বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী পংকজ নাথের মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিষয়টি ঝুলে গেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশালের ছয়টি আসনে আজ রোববার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম এই দুজনসহ সাতজনের বিষয়ে আগামীকাল সোমবার সিদ্ধান্ত জানাবেন।
আজ সকালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়। এ সময় বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাম্মী আহম্মেদের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ উভয় দেশে নাগরিকত্ব রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী পংকজ নাথ। আর শাম্মী আহম্মেদ পংকজ নাথের বিরুদ্ধে হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনেন।
শাম্মী উল্লেখ করেন, রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বিহঙ্গ পরিবহনে পংকজ নাথের মালিকানা রয়েছে। সেই তথ্য তিনি হলফনামায় গোপন করেছেন। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা বিষয়টি পর্যালোচনা এবং উভয় পক্ষের অভিযোগের বিষয়ে আরও যাচাই-বাছাই শেষে সোমবার সিদ্ধান্ত দেওয়ার ঘোষণা দেন।
বর্তমান সংসদ সদস্য পংকজ নাথ এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহম্মেদকে এ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়। দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পর পংকজের অনুসারী নেতারা বলছিলেন, তিনি স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন না। কিন্তু আকস্মিকভাবে ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেন পংকজ নাথ।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে পংকজ নাথ গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমার ইচ্ছা ছিল না স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার। কিন্তু আমার কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আমার ঢাকার বাসায় এসে এখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাম্মী আহম্মেদের দ্বৈত নাগরিকত্বের তথ্য ও প্রমাণাদি আমাকে দেন। ফলে তাঁর মনোনয়নপত্র আইনগতভাবে বাতিল হবে এবং এখানে দলের কোনো প্রার্থী দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। এ জন্য সবার অনুরোধে শেষ সময়ে আমি অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিই।’
পঙ্কজ নাথের দাবি, আইনগতভাবে কোনো দ্বৈত নাগরিকের মনোনয়ন জমাদানের আগে তাঁকে একটি দেশের নাগরিকত্ব বাতিল করা বাধ্যতামূলক। শাম্মী আহম্মেদ এটা না করায় তাঁর মনোনয়ন বৈধ হওয়ার সুযোগ নেই।
এদিকে শাম্মী আহম্মেদ এমন অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ‘দল আমার সব তথ্য এবং সবকিছু বিবেচনা করেই এখানে মনোনয়ন দিয়েছে।’
বরিশালের ছয়টি সংসদীয় আসন থেকে বিভিন্ন দলের এবং স্বতন্ত্র থেকে মোট ৫৫ জন প্রার্থী তাঁদের মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে দাখিল করেন। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় ছয়জনের মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ ছাড়া সাত প্রার্থীর বিষয়ে অভিযোগসহ নানা কারণে অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম।
Leave a Reply