শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ বাংলাদেশের মানুষের বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ইতিহাসের সাক্ষী হতে দ্বীপ জেলা ভোলার সাত উপজেলা থেকে ১৩টি বিলাসবহুল লঞ্চযোগে যাচ্ছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে এ সাত উপজেলার বিভিন্ন লঞ্চঘাট থেকে এ লঞ্চগুলো ছেড়ে যাবে। লঞ্চগুলো স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের তত্ত্বাবধানে রিজার্ভ করা হয়েছে। তাই শুক্রবার ভোলা থেকে ঢাকার উদ্দেশে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যাবে না।
এর মধ্যে সদর উপজেলার ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট থেকে দুটি, দৌলতখান থেকে একটি, বোরাহানউদ্দিন থেকে একটি, তজুমদ্দিন থেকে একটি, লালমোহন থেকে পাঁচটি ও চরফ্যাশন থেকে তিনটি লঞ্চ ছেড়ে যাবে। প্রতিটি লঞ্চে করে এক থেকে দেড় হাজার মানুষ পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাবে। প্রতিটি লঞ্চের যাত্রীদের ভাড়া ও খাওয়ার খরচ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বহন করবেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট থেকে এমভি কর্ণফুলী-১০ ও কর্ণফুলী-১১, দৌলতখান বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল লঞ্চঘাট থেকে এমভি টিপু-৬, বোরহানউদ্দিন লঞ্চঘাট থেকে এমভি গাজী সালাউদ্দিন, তজুমদ্দিন থেকে এমভি তাসরিফ-৩, লালমোহন থেকে এমভি গ্লোরী অব শ্রীনগর-৭, এমভি গ্লোরী অব শ্রীনগর-৮, এমভি অথৈ-১, এমভি মানিক-১১, এমভি শাহরুখ-১, চরফ্যাশন থেকে এমভি কর্ণফুলী-১৩, এমভি তাসরিফসহ তিনটি লঞ্চ ছেড়ে যাবে। লঞ্চগুলো পদ্মাপারের কাঁঠালিয়া লঞ্চঘাটে অবস্থান করবে। একই সাথে লঞ্চে যাতায়াতকারীদের জন্য খাওয়াদাওয়াসহ আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের একটি স্বপ্ন। এটি আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে বাস্তবে রূপ নিয়েছে। আর সেই সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ইতিহাসের সাক্ষী হতে আমরা দ্বীপ জেলা থেকে মাওয়া যাচ্ছি। বিষয়টি ভেবে মনের ভোতর অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করে। ‘
ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাতে তাঁর আসন থেকে ছয়টি লঞ্চযোগে প্রায় ১০ হাজার মানুষ যাবে। লঞ্চগুলো তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে রিজার্ভ করা হয়েছে। লঞ্চে সকলের জন্য খাওয়ারও ব্যবস্থা থাকবে।
Leave a Reply