সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৩ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলার বোরহানউদ্দিনে লঘুচাপ, উজান থেকে আসা পানি, পূর্ণিমার জো’ ও ভারি বর্ষণের কারণে বুধবার দুপুরের পর মেঘনার পানি বৃদ্ধিতে অন্তত: ৫ হাজার পরিবার প্লাবিত হয়েছে।
নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় ৩ টি পয়েন্ট ধসে গেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলের উদ্যোগে রাতের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
স্থানীয় হাকিমুদ্দিন বাজার তলিয়ে ২ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২ কোটি টাকার মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। নদী সংলগ্ন ৪ ইউনিয়নের পুকুর ও ঘেরের ৫ লক্ষাধিক টাকার মাছ চলে গেছে। পাউবো সূত্র জানায়, স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি প্রায় ২ দশমিক ২৫ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হওয়ায় ওই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
ওই ঘটনার পরপরই ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুর রহমান,পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিভিশন-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জরুরী ভিত্তিতে বাঁধ সংস্কারের নির্দেশ দেন। সন্ধ্যার পর পরই সাংসদ আলী আজম মুকুলের উপস্থিতিতে জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধ সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাঁধ মেরামতের কাজ চলছিলো।
উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত হাকিমুদ্দিন বাজারের ১ শত ২০ বছর বয়সী সাবেক ব্যবসায়ী সৈয়দ আহমেদ বলেন, বন্যায় কম-বেশী পানি উঠেছে কিন্তু ৭০’ সালের বন্যার পর এতো পানি আর ওঠেনি। রুহুল আমিন হাজি, উজ্জল হাওলাদার জানান, ২ শতাধিক ব্যবসায়ীর প্রায় ২ কোটি টাকার মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া লঞ্চ ঘাটের পল্টুন, স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হাসাননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মানিক হাওলাদার জানান, ওই ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের বাঁধের বাইরের অংশে ও বেড়িবাঁধে বাস করা প্রায় ২ হাজার ৫ শত মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
টবগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল আহসান চৌধুরী জানান, তাঁর ইউনিয়নের ৩,৪ ও ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের প্রায় ২ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নি¤œ আয়ের মানুষ।
পক্ষিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাগর হাওলাদার জানান, তাঁর এলাকার ১, ২ ও ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া বড়মানিকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিমউদ্দিন হায়দার জানান, পানি ওভার ফ্লো হওয়ায় বাঁধ কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৬, ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের প্রায় ১ শত পরিবারের ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুর রহমান জানান, মানুষ যাতে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এ লক্ষ্যে জরুরী ভিত্তিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলের প্রচেষ্টায় ৩ টি স্পট সহ ২৫ টি স্থানে জরুরী মেরামতের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ভোলা-২(বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান)আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল জানান, বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমার উপস্থিতিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে মৃজাকালু, হাকিমুদ্দিন ও এসহাক মোড়ে বাঁধ মেরামতের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
এছাড়া তিনটি ভেকু মেশিন কাজ করছে। বিষয়টি ইতিমধ্যেই মাননীয় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীমকে জানানো হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ রাতে বেড়িবাঁধে কাজ করে
Leave a Reply