শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি ॥
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার মাকসুদুর রহমানের প্রতিহিংসার শিকার এক ব্যবসায়ী। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, গত ইউপি নির্বাচনে কুতুবা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বার পদে নির্বাচন করে ওই এলাকার মৃত জাফর হাওলাদারের ছেলে মাকসুদুর রহমান ও মৃত তাজল ইসলাম মিয়াজীর ছেলে জাহিদুর রহমান জামাল মিয়াজী। এ নির্বাচনে এলাকায় জামাল মিয়াজীর সমর্থক বেশী থাকা সত্যেও বিভিন্ন কৌশলে জামালকে নির্বাচনে পরাজিত করা হয়।
এতেও ক্ষান্ত হয়নি প্রভাবশালী ও চতুর মাকসুদ মেম্বার। এক সময় জামালের ব্যবসা ও নগদ টাকার উপর লোলুপ দৃষ্টি পরে মাকসুদ মেম্বারের। সে জামালকে সর্বশান্ত ও এলাকা ছাড়া করার জন্য বিভিন্ন সড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে। মাকসুদ মেম্বার কোন ভাবেই জামালকে এলাকা ছাড়া করতে না পেরে বর্তমানে নতুন একটি কৌশল অবলম্বন করে। ইতমধ্যে মাকসুদ মেম্বার মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কুতুবা ২নং ওয়ার্ডের একাধিক প্রেম ও বহুবিবাহে অভ্যস্ত লিজা আক্তার নামে এক দেহ ব্যবসায়ীকে লেলিয়ে দেয় জামাল মিয়াজীর পেছনে।
লিজা দীর্ঘ দিন যাবৎ জামালকে অবৈধ কায়দায় ফাঁসানোর জন্য বিভিন্ন পথ খুজতে থাকে। গত সোমবার মধ্য রাতে জামাল তার ব্যাবসায়ীক কাজ সেরে বাড়ী যাবার পথে লিজা তাকে পথের মধ্যে গতিরোধ করে। এসময়ে লিজা বিবস্ত্র হয়ে জামালকে ঝাপটে ধরে জোড়ে ডাক-চিৎকার করে। জামাল এ বিষয়টি বুঝতে পেরে সে লিজার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এসময়ে মাকসুদ মেম্বারের কালো টাকায় কেনা কয়েকজন লোক এসে নাটকীয় ভাবে লিজাকে উদ্ধার করে প্রথমে বোরহানউদ্দিন হাসপতাল ও পরে থানায় নিয়ে যায়। সূত্রে জানাগেছে, ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট হলেও বর্তমানে মাকসুদ মেম্বার লিজাকে দিয়ে মামলা করার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে জোড় তদবীর চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে নিরিহ ব্যবসায়ী জামাল মিয়াজী তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Leave a Reply