শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি)’র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সরকারী সড়ক কেটে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে কর ধার্য্য শাখার এ্যাসেসর মোস্তা গাউসুল হক খুশবুসহ তার গ্যাং। বরিশাল নগরীর ১৩ নং ওয়ার্ডের ৯৮ নং হোল্ডিং এর নির্মানাধীন ৪ তলা বিল্ডিং এর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য সামনের রাস্তার ড্রেনটির সাথে নিষ্কাশন পাইপ সংযোগ এর অনুমতি চেয়ে চলতি বচরে ৭ জুন তারিখে বিসিসি কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করে ১৩ নং ওয়ার্ডের খালেদাবাদ করোনীর বাসিন্দা মরহুম শেখ আবুল হাসেমের স্ত্রী আজগরি বেগম। আবেদন পত্রে ১৩, ১৪ ও ১৫ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত তৎকালীন মহিলা কাউন্সিলর চলতি বচরের ১১ই জুন সুপারিশ করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহাবুবুল আলম নিপুকে ইস্টিমেট প্রস্তুত করার নির্দেশনা প্রদান করে চলতি বছরের ১৮ই জুলাই। পরবর্তীতে টাকা জমার স্টিমেট ও অনুমতিপত্র না পাওয়ায় পানি নিষ্কাশন পাইপ সংযোগ কার্য স্থগিত করে রাখা হয়। এরপর আকষ্মিক ভাবে চলতি বছরের ০৫ সেপ্টেম্বরে তার বাসায় বিসিসির সোহাগ ও আবিদ হাসান নামের দুই কর্মচারী অফিস নোট সিটের ফটোকপি ও আবেদনকৃতের কাজের স্টিমেটপত্র তার বাসায় নিয়ে যায়। পরের দিন থেকে স্টিমেট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংযোগ পাইপ খোয়া, বালি ও সিমেন্ট প্রস্তুত রাখতে বলে কাজ শুরু করা হবে বলে। ০৬ সেপ্টেম্বর সন্ধায় বিসিসি’র কর্মচারী খুশবু ও সোহাগ উপস্থিত তেকে শ্রমিকদের নিয়ে সরকারী রাস্তা কেটে পানি নিষ্কাশন পাইপ সংযোগ স্থাপন করে। কাজ শেষে সোহাগ সিটি কর্পোরেশনের ব্যাংকে জমা দিবেন মর্মে ৩ হাজার ৬শ ৭৬ টাকা দিতে বলে। স্টিমেট ও অনুমতিপত্র না পেয়ে কাজ করতে ও টাকা দিতে অসম্মতি জানালে বিসিসি’র কর ধার্য্য শাখার এ্যাসেসর মোস্তাগাউসুল হক খুশবু ও কর্মচারী আবিদ হাসান তাকে টাকা দিয়ে দেবার জন্য বলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সেজে। বড় স্যারের কথা এবং মুঠো ফোনে ধরিয়ে দেয়ায় ৩ হাজার ৬শ ৭৫ টাকা সোহাগকে দিয়ে দেয় তিনি। বলে ভবন মালিক আজগরী বেগমের পক্ষে কন্যা ও আমমোক্তার মোঃ নাসিমা বেগম এর স্বাক্ষরিত চলতি মাসের ৪ তারিখ উপরোস্থ বিষয় সমূহ অভিযোগ আকারে লিখিত ভাবে দাখিল করে। এর প্রেক্ষিতে বিসিসি’র সচিব ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইসরাইল হোসেন পানি শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী ওমর ফারুককে তদন্ত কমিটির প্রধান করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়অর নির্দেশনা দেয় এর পরিপ্রেক্ষিতে বিসিসি’র পানি সরবরাহ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ওমর ফারুক তদন্ত প্রতিবেদনের অনুমোদন ব্যতিরেখে সিটি কপোরেশনের মূল রাস্তা কেটে পয়ঃনিষ্কাশনে স্থাপনের অনিয়ম প্রসঙ্গের সাথে ইন্সপেকশন পিড সংযুক্ত করে অনুমতি ব্যাতিরেখে ৬র্ র্ পাইপ ড্রেনের অপর প্রান্তে সংযুক্ত করে। তাতে রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। কোন কর্মকর্তার স্বাক্ষর ব্যাতীত অনুমতি ও টাকা জমা ছাড়াই কাজটি করেন ১৩ নং ওয়ার্ডের ভূক্তভোগী বাসিন্দাদের পক্ষে মোঃ মিলন হোসেন ১৬ সেপ্টেম্বরে একটি আবেদন দাখিল করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমেই প্রতিবেদন তদন্ত আকরে নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর নথীর সাথে সংযুক্ত করেও অবৈধ পাইপ স্থাপন করার জন্য আজগরী বেগমের কন্যা ও আমমোক্তার মোসাঃ নাসিমা বেগম, পিতা: মৃত আবুল হাশেম এর বিরুদ্ধে সিটি কর্পোরেশনের বিধি মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তদন্ত প্রতিবেদন ও নথী উপস্থাপন করে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিসিসি’র মাষ্টার রোল কর্মচারী সোহাগের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেনি। অপর অভিযুক্ত বিসিসি’র কর ধার্য্য শাখার এ্যাসোসর মোস্তা গাউসুল হক খুশবু উপরোক্ত সকল অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। তবে তৃতীয় অভিযুক্ত প্রকৌশল বিভাগের ডিলিং এ্যাসিষ্টেন্ট আবিদ হাসান জানায়, খুশবু’র পরিচিত এমন বলে তার কাছ থেকে নথি চেয়ে নেয়। এর পরে কি হয়েছে তা তিনি জানে না। অপর েিদক একাধিক কর্মচারী নাম না প্রকাশের শর্তে জানায় সাবেক প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরনের ক্যাডার ছিল মোস্তাগাউসুল হক খুশবু। সেই সুবাদে অদ্যাবদী পর্যন্ত একই সাথে প্লানেট ওয়ার্ল্ড শিশু পার্ক এবং বিসিসিতে চাকুরী করে আসছেন। ক্ষমতাসীন দলীয় প্রবাব বিস্তারে বিসিসি’র এহেন অনেক কাজই মাষ্টার রোলের কতিপয় কর্মচারীদের দ্বারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি বিহীন রাস্তা খুড়ে সরকারী সম্পদ নষ্ট করে অর্থ উপার্জন করে আসছে। ফজলুল হক এবিনি তে উদয়ন স্কুলের তিনতলা মার্কেটের দুইটি পানির টিউবওয়েলের নির্ধারিত জায়গা দখল করে তৎকালীন মেয়রের কাছ থেকে টিউবওয়েল সরিয়ে নিজে বাগিয়ে নেয়। আইন বহির্ভূত বহুমাত্রিক হোতা ক্ষমতাসীন দলীয় সাবেক বিসিসি’র মেয়র প্রয়াত হিরনের ক্যাডার থাকার সুবাদে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পায় অধিকাংশরাই। উপরোক্ত বিষয়ে বিসিসি’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) মোঃ ইসরাইল হোসেন জানায় তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply