শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় সীমা ধর্ষণ ও হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সীমাকে প্রলোভন দেখিয়ে ঘুরতে নিয়ে প্রথমে প্রেমিক আলমগীর ধর্ষণ করে। পরে তার সাথে থাকা বন্ধুরাও সীমাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। এতে রাজি না হওয়ায় আলমগীর তাকে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে হত্যা করে।গ্রেপ্তারের পর আদালতে ঘাতক প্রেমিক আলমগীর হত্যার দায় স্বীকার করে এসব কথা জানায়।
মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর কবির জানান, আটক আলমগীর হত্যার মূল নায়ক। সে প্রেমিকা সীমাকে ওলিপুর তার দোকানে আসার জন্য নিমন্ত্রণ জানায়। নিমন্ত্রণ পেয়ে সীমা তার দোকানে এলে আলমগীর তাকে পাহাড়ে ঘুরতে নিয়ে যায়। সেখানে পাহারের চূরায় আলমগীর তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে তার সহযোগিদের ধর্ষণে সুযোগ দিতে বলে। এতে রাজি না হওয়ায় শাড়ির আচল পেচিয়ে সীমাকে হত্যা করে পালিয়ে যায় তারা।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সীমার কললিষ্টের সূত্র ধরে আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে বলে জানান তিনি।চুনারুঘাট থানার ওসি কে এম আজমিরুজ্জামান জানান, আলমগীর গুরুত্বপুর্ণ তথ্য দিয়েছে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা কললিষ্টের সূত্র ধরে বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যে শনাক্ত করেছি। তদন্তের স্বার্থে এসব আসামীদের নাম বলা যাচ্ছে না। আমরা হত্যার ৩৯ দিনের মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে জড়িত সকল অসামীকে গ্রেপ্তার করে আইনের অওতায় নিয়ে আসতে পারব।
উল্লেখ্য, গত ৪ জানুয়ারি সীমা বোনের বাড়ি শৈলজুড়া বেড়াতে এসে নিখোঁজ হয়। হত্যার দুইদিন পর ৫ জানুয়ারি চুনারুঘাট উপজেলার রঘুনন্দন পাহাড়ের মাধবপুর সীমান্তবর্তী এলাকার বেত বাগানে থেকে লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে লাশটি আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে রাজনগর কবরস্থানে দাফন করা হয়। সুমা রানী সরকার (২৫) এর লাশ দাফন করার ১০ দিন পর সুমার পিতা মাতা চুনারুঘাট থানায় যুবতীর ছবি ও পরনের কাপড় চোপড় দেখে তার মেয়ে বলে শনাক্ত করেন। ১০ জানুয়ারি শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পুরাসন্দা গ্রামের নিরঞ্জন সরকারের স্ত্রী নিহত সুমার মা সন্ধ্যা রানী সরকার আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত ধর্মীয় মতে লাশ তুলে সৎকার করার নির্দেশ দেন। মেয়েকে খুনের অভিযোগ এনে হত্যা মামলা দায়ের করেন তারা।
Leave a Reply