সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৫ অপরাহ্ন
মামুন আহমেদ, বানারীপাড়া: বানারীপাড়া বন্দর বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অহরহ পাওয়া যাচ্ছে নিষিদ্ধ পলি দিয়ে তৈরি টিস্যু ব্যাগ। বাজারে মুদি-মনোহারী দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ, ও তৈরি পোশাকের দোকান থেকে শুরু করে কোথায় নেই নিষিদ্ধ পলিথিন বা টিস্যু ব্যাগের ব্যবহার? বাজারে পাটজাত ব্যাগ ও অন্যান্য পঁচনশীল টিস্যু ব্যাগ বৈধ হলেও এখানে যে টিস্যু ব্যাগ পাওয়া যাচ্ছে তার উপাদান হলো পলিথিনের পরিত্যক্ত অংশ। ফলে প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে বৈধ টিস্যু ব্যাগের নামে যে অবৈধ টিস্যু ব্যাগ বাজারজাত করা হচ্ছে তা আসলে পলিথিন।
এগুলো সহজে পঁচে না এবং আগুন পোড়ালে এর থেকে এক ধরণের বিষাক্ত গ্যাস সৃষ্টি হয় যা পরিবেশ দূষিত হয় ও মানুষের শরীরে মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে।
বাংলাদেশ সরকার পাট দিয়ে তৈরি চটের ব্যাগ বা এ থেকে উৎপন্ন টিস্যু ব্যাগ ব্যবহারের নির্দেশ দিয়ে পলিথিন বা এর তৈরি টিস্যু ব্যাগ ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করলেও পলিথিনের পাশাপাশি নিষিদ্ধ টিস্যু ব্যাগের ব্যবহার এখন যেন “ওপেন সিক্রেট”। মাঝে মাঝে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা করলেও পলিথিনের ব্যবহার যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে।
কিছুদিন আগে বরিশাল থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসে প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদের জরিমানা করেন এবং এ ব্যাগ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চাল, ডাল, পিঁয়াজ, রসুন, চিনি, হলুদ, মরিচসহ ১৭টি পণ্য প্লাস্টিকের বস্তার পরিবর্তে পাটের তৈরি চটের বস্তা বা ব্যাগ ব্যবহারের নির্দেশ দিয়ে যান। এর প্রতিবাদে সকল দোকানদাররা তাদের দোকান বন্ধ রেখে এর প্রতিবাদ করেন।
পলিথিন ও টিস্যু ব্যাগ প্রসঙ্গে আলাপকালে বানারীপাড়া বন্দর বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার পলিথিন ও টিস্যু ব্যাগ তৈরির কারখানা বন্ধ করলেই বাজারজাত বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা যেভাবে মাল আনি সেভাবেই ব্যবহার করি । কারখানা সিলগালা না করে খুচরা ব্যবসায়ীদের অন্যায়ভাবে জরিমানা করা হয়, যা উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর মতো অবস্থা। আমরা কেনো ভুক্তভোগী হবো? এখানে আমাদের কী করার আছে?
Leave a Reply