রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৩ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে নির্বাসনের পর ভারতে আশ্রয় নেন তসলিমা। কলকাতাতে থাকাকালীন বিতর্কের মুখে পড়তে হয় তাকে। তার একটি বইকে কেন্দ্র করে রোষের মুখে পড়ে কলকাতা ছাড়তে হয় তাকে। আপাতত তিনি দিল্লিবাসী।
এদিকে ভিসা নিয়ে গত দীর্ঘ কয়েক বছরে একাধিকবার সমস্যায় পড়তে হয়েছে তসলিমা নাসরিনকে। তবে এবার মাত্র তিন মাসের মেয়াদ বাড়ানোয় হতবাক লেখিকা।
ভারতের গণমাধ্যম জানায়, ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা সত্বেও কোনো সাড়া পাচ্ছিলেন না তসলিমা নাসরিন। তাই ভারেতর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর উদ্দেশে মঙ্গলবার একটি টুইট করেন তিনি।
আগামী ২৭ জুলাই তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তার আগে ২৬ জুলাই তাকে ইউকে উড়ে যেতে হবে বলে ওই টুইটে জানান তসলিমা।
এরপর বুধবারই তিনি জানান, তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। তবে সেটা মাত্র তিন মাসের জন্য।
তসলিমা জানান, প্রত্যেকবারই তিনি পাঁচ বছরের ভিসার মেয়াদের জন্য আবেদন জানান, কিন্তু মাত্র এক বছরের জন্য ভিসা মঞ্জুর করা হয়। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম। এবারও তিনি পাঁচ বছরের জন্যই আবেদন করেছিলেন। কিন্তু মাত্র তিন মাসের জন্য সেই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
এই বিষয়ে আবারও তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অফিসিয়াল টুইটারে হ্যান্ডেলকে মেনশন করে তসলিমা লিখেছেন, যাতে তার আর্জি পুনর্বিবেচনা করা হয় আর অন্তত এক বছরের জন্য বাড়ানো হয় ভিসার মেয়াদ।
এর কয়েক ঘণ্টা বাদে ফের একটি ট্যুইট করেন তসলিমা। সেখানে তিনি মনে করিয়ে দেন যে ভিসার মেয়াদ ৫০ বছরের জন্য বাড়িয়ে দেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাই অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি ফের সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, লেখা নিয়ে বিতর্কের জেরে হুমকির মুখে ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছিল তসলিমা নাসরিনকে। বর্তমানে তিনি বর্তমানে সুইডেনের নাগরিক। গত ২০ বছরে তসলিমা আমেরিকা এবং ইউরোপেও থেকেছেন বিভিন্ন সময়ে। ২০০৪ সাল থেকে তসলিমা ভারতীয় ভিসা পেয়ে আসছেন। ২০০৭ সালে একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনার জেরে তসলিমাকে কলকাতা ছাড়তে হয়েছিল।
Leave a Reply