শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তান্ডবে শুক্রবার কয়েক ঘন্টার টানা বর্ষণ ও দমকা বাতাসে ধানক্ষেত ও শীতকালীন সবজি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা। তবে বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র বলছে, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে জেলায় ২০ হাজার ৩০০ হেক্টর আমন ফসল আক্রান্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করা না হলেও তাদের ধারণা ৩ থেকে ৪শ’ হেক্টর জমির আমন ক্ষতি হতে পারে।
বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলা ১ লাখ ২৫ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৪ হাজার হেক্টর ফসল কাটা হয়েছে। শুক্রবারে ঘূর্ণিঝড়ে জেলায় মোট ২০ হাজার ৩০০ হেক্টর আমন ফসল আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া জেলায় সরিষা আবাদ হয়েছে ২১৬ হেক্টর জমিতে, ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত হয়েছে ১৩০ হেক্টর জমির সরিষা, খেশারী ডাল আবাদ হয়েছে ৩০১০ হেক্টর জমিতে, ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৪০৮ হেক্টর জমির খেশারী, শীতকালীন শাক-সবজি আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে, যার মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৩১০ হেক্টর জমির সবজি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বরিশালের উপ-পরিচালক মো. মুরাদ হাসান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে বরিশাল জেলায় ২০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমির আমন ফসল আক্রান্ত হয়েছে। দুই-তিনদিন পর ক্ষয়ক্ষতির নিরূপন করা যাবে। বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী জেলায় ৩০০ থেকে ৪০০ হেক্টর জমির আমন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে যেহেতু জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১২শ হেক্টর বেশি জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে সেক্ষেত্রে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যামাত্রায় এর কোন প্রভাব পড়বে না।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে পটুয়াখালী জেলার আমন ধানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ঝড়ো হাওয়া আর মুষলধারে বৃষ্টিতে অনেক জায়গায় আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। পটুয়াখালী কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, জেলার ৮ উপজেলার প্রায় অনেক জমির রোপণকৃত আমন ও ইরি ফসল বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। আমন ধান হেলে পড়েছে। বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় শীতের আগাম সবজিও ক্ষতির মুখে পড়তে শুরু করেছে।
পটুয়াখালী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পটুয়াখালীতে এখন মাঠে ১ লাখ ৯১ হাজার ১১৯ হেক্টর জমিতে আমন ধান আছে। তার মধ্যে মাত্র ৫ ভাগ খেতের ধান পরিপক্ক হয়েছে। ঝোড়ো বাতাসের ফলে আমন ধানের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। যাদের ধান কাটার মতো হয়েছে, তাদের ধান কেটে ফেলতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply